কক্সবাজারের রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের নতুন মুরাপাড়া এলাকায় গরু চুরির সময় জড়িত ৪ জনকে আটক করেছে জনতা। এসময় চুরি হওয়া গরু, চুরিতে ব্যবহৃত পিকআপ গাড়ি, লোহা কাটার যন্ত্র, ছুরি সহ বেশকিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১২ জুলাই) ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃত ৪ জনই চকরিয়া উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। এরা হলেন-চকরিয়া উপজেলার ফাসিয়াখালী ০৯ নং ওয়ার্ডের ছাইরাখালী এলাকার মৃত মীর আহমদের ছেলে মো. আলম (৪২), চকরিয়া পৌরসভার ১ নং ওয়াডের তরছঘাট এলাকার সুলতান আহমদের ছেলে মো. আক্কাস (২৮), ৭ নং ওয়ার্ডের বড় ভিওলা সিকদারপাড়া এলাকার বদিউল আলমের ছেলে মো. আলমগীর (২৮) ও ৩নং ওয়ার্ডের ভাঙ্গারমুখ এলাকার মৃত শহর মুল্লকের ছেলে দেলোয়ার (২৭)। আটকের পর তাদের রামু থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
জোয়ারিয়ানালা মুরাপাড়া এলাকার মৃত বশির আহমদের ছেলে নুরুল ইসলাম ভূট্টো
জানিয়েছেন,গভীর রাতে তার বাড়ি থেকে একটি বড় সাইজের গরু চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিলেন চোরের দল। এসময় তারা আশপাশের আরো কয়েকটি বাড়িতে চুরির চেষ্টা চালাচ্ছিল। কিন্তু তার এক প্রতিবেশী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে এসে চোরদের উপস্থিতি টের পান। ওইসময় সে বাড়ির ভিতরে গিয়ে মুঠোফোনে আশপাশের লোকজনকে বিষয়টি জানিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে পাড়া-প্রতিবেশীরা চোরদের ঘিরে ফেলে। এসময় একটি মিনিট্রাক সহ বেশী কয়েকজন চোর পালিয়ে গেলেও জনতার হাতে ৪ জন ধরা পড়ে।
খবর পেয়ে রামু থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমীর হোসেন ঘটনাস্থলে যান এবং আটককৃত ৪ জন, জব্দকৃত গাড়ি ও অন্যান্য সরঞ্জাম থানা হেফাজতে নিয়ে যান। এসআই আমীর হোসেন জানান,এ ঘটনায় ৪জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে চুরি হওয়া ১টি গরু, চুরিতে চুরিতে ব্যবহৃত পিকআপ গাড়ি (চট্টমেট্টো ন ১১-৬৩১৭), লোহা কাটার যন্ত্র, ছুরি সহ বেশকিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
জানা গেছে- প্রতিবছরের মতো এবারও আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে জেলাজুড়ে গরুচোর সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রতিরাতে কোথাও না কোথাও গরু চুরির ঘটনা ঘটছে। গরু চুরির সবচেয়ে বড় সিন্ডিকেটটি চকরিয়া উপজেলার। ইতিপূর্বেও রামুতে গরু চুরির ঘটনায় চকরিয়া উপজেলার একাধিক চোর ধরা পড়ে।