চকরিয়ায় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত হয়েছে। অধিকার ও পছন্দই মূল কথা: প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার প্রাধান্য পেলে কাঙ্ক্ষিত জন্মহারে সমাধান মেলে।’এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে
প্রতি বছর অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালন করে আসছে। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ফের বাড়ায় চলতি বছর বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে তেমন কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়নি। তবে এবারে অনলাইনে মিটিং করা হয়।
আজ সকাল ১০ টায় চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই অনুষ্টানটি আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- উপজেলা পরিবার পরিকল্পনার কর্মকর্তা বিধান কান্তি রুদ্র। এবং চিরিঙ্গা ইউনিয়নের এফপিআই হিমেল এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মা স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র-এন এস এস এর ম্যানেজার-বিজন কুমার বিশ্বাস, মামনি প্রকল্পের সমন্বয়কারী -জনাব সাইফুল, অর্ক হেলথের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি- সুধীর চন্দ্র দাশ ছাড়াও এফপিআই, এফডাব্লিউএ, এফডাব্লিউভি সহ জিও এনজিও কর্মকর্তা কর্মচারী গণ সহ প্রমুখ।
পরিবার পরিকল্পনার কর্মকর্তা বিধান রুদ্র বলেন এবারের বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ২০২১ এ ক্লিনিক কার্যক্রম সেবায় প্রদানে চকরিয়ায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে এনএসএস পরিচালিত মা স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আরো বলেন- এনজিও দের মধ্যে চকরিয়া মা স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র-এনএসএস এর পরিবার পরিকল্পনা সেবা, প্রজননস্বাস্থ্য সেবা, গর্ভবতী চেক-আপ, নরমাল ভেলিভারি, এমআর, প্যাক সেবা সহ মহিলাদের সকল স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের ভূয়সি প্রশংসা করেন, তিনি মা স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র-এনএসএস এর এই সফলতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার আশা প্রকাশ করেন।
এইদিকে আজ দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, প্রজনন স্বাস্থ্য প্রত্যেক নর-নারীর অধিকার। নিরাপদ মাতৃত্ব ও প্রসূতি সেবা, মা ও শিশুস্বাস্থ্য পরিচর্যা, নারীদের সন্তান গ্রহণের সিদ্ধান্তসহ নারীর যথাযথ মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা প্রদান করে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা। পরিকল্পিত পরিবার একটি দেশের উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত। পরিবারের আকার ছোট হলে তা পরিবারের সদস্যদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকার পূরণের পাশাপাশি সুখী ও সমৃদ্ধশালী দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ‘একটি (দেশের জনসংখ্যা ও উন্নয়ন অবিচ্ছেদ্যভাবে সম্পর্কিত। দেশের আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যা বেশি হলে প্রতিটি সেক্টরে এর প্রভাব পড়বে। তাই একটি দেশের উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে পরিকল্পিত জনসংখ্যা। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকার পূরণের পাশাপাশি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গঠনে পরিকল্পিত জনসংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’
তিনি বলেন, আমরা জনসংখ্যা-বিষয়ক বিভিন্ন সূচকের অগ্রগতি নিশ্চিত করতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা, পরিকল্পিত পরিবার গঠন, মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা, প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, স্বাভাবিক প্রসব সংক্রান্ত সকল সেবা, বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্যসেবা এবং আধুনিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহীতার হার বৃদ্ধিকে যথেষ্ট অগ্রাধিকার দিয়েছি। নিরাপদ মাতৃত্ব, কিশোর-কিশোরীর স্বাস্থ্য, নারী শিক্ষা ও নারী কর্মসংস্থানের জন্য নতুন নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের মাধ্যমে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাঠকর্মীরা প্রতি মাসে প্রায় ৩০ হাজার স্যাটেলাইট ক্লিনিক এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে দম্পতি পরিদর্শনের মাধ্যমে পরিবার পরিকল্পনা।