মধ্যরাতে আটলান্টিক মহাসাগরে ভয়ংকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি মিথিলা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp

আফ্রিকার সিয়েরা লিওন থেকে ফেরার সময় ভয়ংকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন অভিনেত্রী রাফিয়াদ রশীদ মিথিলা। মধ্যরাতে আটলান্টিক মহাসাগরে উত্তাল ঢেউ মোকাবেলা করতে হয় এই অভিনেত্রীকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সে ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথাই লিখেছেন মিথিলা।

ব্র্যাকে চাকরির সুবাদে তিনি সম্প্রতি উগান্ডা গিয়েছিলেন। সেখানে এক কর্মশালা ফেরার পথে এ বয়ংকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন তিনি। সোশ্যাল হ্যান্ডেলে মিথিলা লিখেছেন, আমি সাধারণত আমার অফিসিয়াল ট্রিপ থেকে সুন্দর ছবিগুলোই শেয়ার করি। আর তাই দেখে অনেকেই আহা-উহু করতে করতে বলে, ইশ আমারও যদি এ রকম একটা জব থাকতো। এই সুন্দর ছবির পেছনের অভিজ্ঞতাটা তাদের জন্য শেয়ার করছি।

গত দুই সপ্তাহ আমি উগান্ডায় বিভিন্ন রকম ট্রেনিং, ওয়ার্কশপ, ফিল্ড ভিজিট শেষ করে ওয়েস্ট আফ্রিকার সিয়েরা লিওনে আসি এখানকার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটা কর্মশালার আয়োজন করতে। আমার কর্মশালা ৯ই সেপ্টেম্বর শেষ হয় এবং পরদিন রাতেই আমার সিয়েরা লিওন থেকে কলকাতায় যাবার ফ্লাইট ছিল। বিকাল থেকেই প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি।

সিয়েরা লিওনের রাজধানী, ফ্রি টাউন, আটলান্টিক মহাসাগরের তীরে এবং সিয়েরা লিওনের এয়ারপোর্টটা ফ্রি টাউন থেকে দূরে একটা বিচ্ছিন্ন জায়গায় অবস্থিত, যার নাম ‘লুঙ্গি’।

আরও পড়ুন: চরকিতে ‘দুই দিনের দুনিয়া’ নিয়ে আসছেন চঞ্চল চৌধুরী

ফ্রি টাউন থেকে এক ঘণ্টা একটা ছোট ফেরিতে আটলান্টিক পার হয়ে লুঙ্গি এয়ারপোর্টে যেতে হয়। ঝড়বৃষ্টির কারণে আমি একটু বেশিই চিন্তিত ছিলাম। আমার ফেরির টাইম ছিল রাত ২টায়। কিন্তু যত রাত বাড়ছে ততই ঝড়ও প্রকট আকার ধারণ করছে। শেষ পর্যন্ত ভয়ে ভয়ে রাত ১টায় টার্মিনালে গেলাম। লোকজন খুবই কম।

মিথিলা লিখেন, রাত ২টায় যখন উঠে বসলাম তখন বোট ভীষণভাবে দুলছিল। তারপর মাঝ সমুদ্রে যাওয়ার পর দুলুনির সঙ্গে সঙ্গে মাথাটাও ঘুরতে শুরু করলো। বিশাল বিশাল পানির ঝাপ্টা আসছিল। মনে মনে বিভিন্ন ধরনের দোয়া পড়তে পড়তে ঘড়িতে সময় যেন এগোচ্ছিলই না! শেষ পর্যন্ত এক ঘণ্টাকে এক জীবন ভাবার আগ মুহূর্তে ফেরি ওপারে পৌঁছাল।

ফেরি থেকে নেমে টার্মিনাল অব্দি বৃষ্টির মধ্যে দৌড়ে যেতে যেতেই কাকভেজা হয়ে গেলাম। তারপর একটা বাসে চড়ে লুঙ্গি এয়ারপোর্টে পৌঁছাতে বাজলো ভোর ৪টা। ইমিগ্রেশনের বহু কসরত শেষ করে প্লেনে উঠতে গিয়ে আরেকটু ভিজলাম। কারণ বাসে করে রানওয়ের কাছাকাছি গিয়ে প্লেনে ওঠার সময় অবশ্যই কোনো ছাতার ব্যবস্থা ছিল না।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

Welcome Back!

Login to your account below

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.