- যখন আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ে তখন দেশের বাজারে দাম বাড়াতে এক সেকেন্ড ও দেরি করো না কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজার দাম কমলে তখন এরা আর দাম কমায় না।
সাম্প্রতিক কালে বোতলজাত সয়াবিন তেল দাম বাড়তে বাড়তে ১৯৯ টাকায উঠেছিল প্রতি লিটার এর দাম।পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমতে থাকায় সরকারের চাপে তারা ১৪ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করে লিটার প্রতি ১৮৫ টাকা।কমানোর পরে এই দামে আস্তে আস্তে বাজার স্থিতিশীল হতে যাচ্ছিল, যদিও এই দামের ব্যাপারে ভোক্তা সহ সচেতন মহলের আপত্তি ছিলো। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে পর্যালোচনা করলে এই দাম অনেক বেশি। পার্শ্ববর্তী দেশের সাথে তুলনা করলে এ দাম ১৫০ টাকা হওয়া উচিত।
এই যখন পরিস্থিতি তখন আজকে খবর বেরোলো তেল ব্যবসায়ীরা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ২০ টাকা বাড়ানোর জন্য পায়তারা করছে। লক্ষ্যনীয় বিষয় আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সমন্বয় করে সরকার যখন জ্বালানি তেল এর দাম বৃদ্ধি করেছে ঠিক এমন সময় তারা এই দাবি তুললো। অথচ সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন কিংবা পাম তেল এর দাম বেড়েছে এমন কোন খবর নেই।
আসলে দেশের সয়াবিন তেলের ব্যবসাটা কয়েকটি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে এরা সুযোগ বুঝে সরকারকে ও ও বেকায় দায় ফেলতে চায়। এরা যখন আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ে তখন দেশের বাজারে দাম বাড়াতে এক সেকেন্ড ও দেরি করো না কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজার দাম কমলে তখন এরা আর দাম কমায় না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকার টিসিবির মাধ্যমে দেশব্যাপী প্রায় এক কোটি পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে ১১০ টাকায় সয়াবিন তেল সরবরাহ করছে এতে অন্তত নিম্নবিত্ত কিংবা নিম্ন মধ্যবিত্ত কিছু মানুষ উপকৃত হচ্ছে। সরকার এজন্য মানুষের ধন্যবাদ পেতেই পারে, কিন্তু এটাই যথেষ্ট নয় সরকারকে সয়াবিন তেলের ব্যবসায়ী মিল মালিকদের গ্রুপ গুলার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে হবে এবং সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে মাঝেমধ্যে যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা তাও কঠোর হাতে দমন করতে হবে।
লেখকঃ ডেপুটি গভর্নর, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন