ঘড়ির কাঁটায় কানাডায় তখন রাত সাড়ে ১০টা। এপার বাংলা ও ওপর বাংলায় সূর্যোদয় হলো বেশ খানিক আগে।
ঠিক তখনই কানাডাভিত্তিক ২৪ ঘন্টার জনপ্রিয় গণমাধ্যম ‘এনআরবি’ টিভি তাঁদের সাপ্তাহিক আয়োজন ‘স্টার অব দ্য উইক’ নিয়ে হাজির হয় অনলাইন প্ল্যাটফর্মে।
এপার বাংলা থেকে সংযুক্ত হন বিশিষ্ট ওড়িশি নৃত্যশিল্পী প্রমা অবন্তী,ওপার বাংলার শিলিগুড়ি থেকে যুক্ত হন বিশিষ্ট বাচিকশিল্পী, শিলিগুড়ি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড.অমিতাভ কাঞ্জিলাল ও কানাডার টরেন্টো থেকে যুক্ত হন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী ড.মমতাজ মমতা।
সুরেরর মূর্ছনা,আবৃত্তিশিল্পীর কন্ঠের মাধূর্য এবং নূপুরের ঝংকারে মুগ্ধ হয় এপার-বাংলা, ওপার-বাংলা ও কানাডাসহ দেশ-বিদেশের অগনিত দর্শকবৃন্দ। সেই সাথে সৃজিত চৌধুরীর প্রাণবন্ত উপস্থাপনা অন্য এক মাত্রা যোগ করে অনুষ্ঠানে।
শিল্পী মমতাজ মমতা শুরু করেন কবিগুরুর একটি বর্ষার সংগীত দিয়ে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সবচেয়ে প্রিয় ঋতুর মধ্যে একটি হলো এই বর্ষা। পরবর্তী পরিবেশনা ছিল শিল্পী অমিতাভ কাঞ্জিলাল-এর। তিনি বিদ্যাপতির কবিতা উপস্থাপন করেন। তারপরেই মঞ্চ আলোকিত করে উচ্চাঙ্গ নৃত্য (যুগ্মদন্ড পল্লবী) নিয়ে উপস্থিত হন শিল্পী প্রমা অবন্তী।
অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন-স্বপ্না দাশ এবং সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন ‘এনআরবি’ টেলিভিশনের কর্ণধার শহিদুল ইসলাম মিন্টু। সবশেষে, শিল্পীরা দর্শকদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান এবং ‘এনআরবি’ টেলিভিশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রমা অবন্তী বলেন-‘এমন ক্রান্তিলগ্নে এ ধরনের আয়োজনের মধ্যে দিয়ে দেশ-বিদেশের সংস্কৃতির আদান-প্রদান ঘটাচ্ছেন ‘এনআরবি’ টিভি যা সত্যি প্রশংসনীয় উদ্যেগ।’
সর্বশেষ দর্শকদের মাঝে বিস্ময় সৃষ্টি করে উপস্থিত হন শিল্পী অমিতাভ কাঞ্জিলাল। কক্সবাজারের লোকভাষায় নির্মিত কবিতা ‘মেবাইল ফোন’ নিয়ে সিরাজুল হক সিরাজের লেখা, সেই বিরহ সেই ভালোবাসায়। তার মধ্যে দিয়ে মনোমুগ্ধকর এই অনুষ্ঠানের পর্দা নামে।
অনুষ্ঠানের কারিগরী দিক লক্ষ্য রাখেন ‘এনআরবি’ টিভির টেকনিক্যাল টিম।
পাশাপাশি নৃত্যানুষ্ঠান পর্বের সহযোগী হিসেবে ছিল ওটিডিএমসি মিডিয়া পর্ষদের মিডিয়া উইং অভ্র ও সদস্য অদ্রিজা ঘোষ।