করোনাভাইরাস সংক্রমণ কমাতে কঠোর লকডাউনের মধ্যেও দেশে শনাক্ত ও মৃত্যু বেড়েছে। এরমধ্যেই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মী উৎসব ঈদুল আজহা ২১ জুলাই পালিত হবে। এই ঈদকে কেন্দ্র করে মানুষের ভিড় ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরপাল্লার পরিবহন চালুর দাবি জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে চলমান লকডাউনে ব্যবসায়ীদের ঈদের বাজার ও অর্থনৈতিক দিক বিবেচনায় নিয়ে সোমবার (১২ জুলাই) রাতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, গত ঈদে লকডাউন থাকলেও ঘরমুখো মানুষ শহর ছেড়ে গ্রামে গিয়েছেন। এবার ঈদেও একই দৃশ্য হতে পারে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানুষ যাতে গন্তব্যস্থলে যেতে পারে সেজন্য দূরপাল্লার পরিবহন চালু করা দরকার।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী গণমাধ্যমকে বলেন, কঠোর লকডাউনে সারাদেশে ৫০ লাখ পরিবহন শ্রমিক বেকার। এ অবস্থায় তাদের জীবিকা নির্বাহ এবং সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের বাড়ি যাওয়ার ভোগান্তি কমাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরপাল্লার বাস চালুর অনুমতি দেয়া হোক।
তিনি আরও বলেন, দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকলেও মানুষ ট্রাক, পিকআপ ও মোটর সাইকেলে গন্তব্যে যাবেন। এতে করোনা মহামারি আরও বাড়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এর চেয়ে দূরপাল্লার বাস ও মিনিবাস স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালানোর ব্যবস্থা নিতে পারে সরকার।
নিট গার্মেন্ট ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি সেলিম ওসমান ওই সভায় বলেন, ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষ যেন সুন্দরভাবে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন, সে লক্ষ্যে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চালু রাখা প্রয়োজন।