বয়সকে ধরে রাখতে তুলসি পাতার জাদুকরী ৫ ফেসপ্যাক

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp

তুলসি পাতা স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী তা সকলেই জানি। আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় অধিকাংশ সময়ই তুলসি রাখা হয়। তুলসি এমন একটি উপাদান যা প্রায় সকল রোগেই ওষুধের কাজ করে।

সর্দি-কাশি-ঠাণ্ডা জ্বর থেকে শুরু করে আরও ছোট ছোট বিভিন্ন অসুখে অনেক উপকারে আসে। নিয়মিত তুলসি খাওয়ায় সংক্রমণ প্রতিরোধ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, কিডনিতে পাথর হওয়ার মতো সমস্যা থেকে বাঁচায়। এছাড়াও ত্বকের জন্য অনেক উপকারী তুলসি পাতা। এবার তাহলে ত্বকের যত্নে তুলসির পাঁচটি ফেসপ্যাক তুলে ধরা হলো-

ত্বক উজ্জ্বল করতে : কয়েকটি তুলসি পাতা বেটে নিয়ে তাতে অল্প পরিমাণ দুধ মেশান। এবার পেস্ট করে গোটা মুখে লাগিয়ে প্রায় ২০ মিনিটের মতো রাখুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।

ব্রণ কমাতে : কমলালেবুর খোসা শুকিয়ে তা গুঁড়ো করে নিন। এবার এই গুঁড়োর সঙ্গে তুলসি পাতার পেস্ট মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে আধ ঘণ্টার মতো রেখে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে তিন কি চারদিন ব্যবহার করতে থাকুন। নিজেই ফলাফল বুঝতে পারবেন। এছাড়াও তুলসি পাতা ধুয়ে বেটে তার সঙ্গে চন্দন বাটা, হালকা লেবুর রস ও গোলাপজল মিশিয়ে ত্বকে লাগানোর ফলে ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

তুলসি পাতা ও চন্দনের ব্যবহার : তুলসি পাতার পেস্ট, গোলাপ জল ও চন্দন গুঁড়ো ভালো করে মিশিয়ে মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে আধ ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। ত্বকে কোনও সমস্যা না থাকলেও নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং ত্বকের পুষ্টি গুণাগুণ পূরণ হবে।

চুলকানি প্রতিরোধে : গ্রীষ্মকালে অনেকের ত্বকেই র‌্যাশ, চুলকানি ও ঘামাচির মতো সমস্যা দেখা দেয়। যারা এসব সমস্যায় ভুগেন তাদের তুলসি পাতার পেস্টের সঙ্গে অল্প একটু লেবুর রস মিশিয়ে চিহ্নিত স্থানে লাগিয়ে রাখলে কার্যকরী উপকার পাওয়া যায়।

বয়সকে ধরে রাখতে : কয়েকটা তুলসি পাতা ধুয়ে নিয়ে বেটে পেস্ট করে নিন। এবার তা দশ মিনিটের মতো মুখে লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তুলসি পাতায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকে টানটান ভাব, সতেজ ও উজ্জ্বলতা ধরে রাখে। সূত্র : বোল্ডস্কাই

নিয়মিত তুলসী পাতা খেলে যে সমস্যা এড়াতে পারবেন
ঠান্ডা লাগলে তুলসী পাতা জাদুর মতো কাজ করে। গলার সব রকম সমস্যায় তুলসী পাতা ব্যবহৃত হয়। তুলসী পাতায় আছে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় হার্টকে বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্ত রাখে সহায়তা করে। তুলসী পাতা হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ায় ও এর স্বাস্থ্য ভালো রাখে। মাথা ব্যথা ও শরীর ব্যথা কমাতে তুলসী খুবই উপকারী। এর বিশেষ উপাদান মাংশপেশীর খিঁচুনি রোধ করতে সহায়তা করে। তুলসী গাছের ঔষধি-গুণাবলি সমৃদ্ধ গাছ। তুলসীকে নার্ভের টনিক বলা হয় এবং এটা স্মরণশক্তি বাড়ানোর জন্য বেশ উপকারী। এটি শ্বাসনালী থেকে শ্লেষ্মাঘটিত সমস্যা দূর করে। তুলসী পাতা পাকস্থলীর ও কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

তুলসী পাতা হলো প্রোফাইল্যাক্টিভ যা পোকামাকড় কামড়ে দিলে উপসম করতে সক্ষম। পোকার কামড়ে আক্রান্ত স্থানে তুলসী পাতার তাজা রস লাগিয়ে রাখলে পোকার কামড়ের ব্যথা ও জ্বলা থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যায়।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

Welcome Back!

Login to your account below

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.