বর্ষীয়ান সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক ও রবীন্দ্র গবেষক কবি অরুণ দাশগুপ্ত (৮৬) আর নেই।
আজ শনিবার (১০ জুলাই) বেলা ১২টা ২০ মিনিটে তিনি পটিয়ার ধলঘাটের নিজ বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
শনিবার বেলা ১২টা ২৪ মিনিটে দাদামনির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন কনসার্ন সার্ভিস ফর ডিসঅ্যাবেলডের (সিএসডি) প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত গুপ্ত বিশু।
চট্টগ্রামের সাংবাদিক জগতের বটবৃক্ষ অরুণ দাশগুপ্ত সবার কাছে পরিচিত ছিলেন ‘দাদামণি’ হিসেবে। জীবদ্দশায় তিনি দৈনিক আজাদীর সহযোগী সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
চিরকুমার কবি অরুণ দাশগুপ্ত দাদামণি জীবনের শেষ সময় কাটিয়েছেন তাঁর নিজ ভিটায়। ধলঘাট স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতায়। তিনি সেখানে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করেন। নাড়ির টানে ফিরে আসেন চট্টগ্রামে। ততদিনে জমিদারি প্রথা বিলুপ্তির পথে। হাতছাড়া হয়ে গেছে বিপুল সম্পদ।
এসময় মিরসরাইয়ের এক গ্রামে প্রতিষ্ঠিত উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনি নিলেন শিক্ষকতার চাকরি। এরপর ফটিকছড়ির নারায়ণহাট স্কুলে। অবশেষে সব ছেড়ে দৈনিক আজাদীর প্রয়াত সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদের হাত ধরে ১৯৭৩ সালে যোগ দেন দৈনিক আজাদীতে।
১৯৩৬ সালের ১ জানুয়ারি ধলঘাট গ্রামে জমিদার যশোদা নন্দন ওয়াদ্দেদার (দাশগুপ্ত) এর পুত্র অবিনাশ ওয়াদ্দেদারের ঔরসে জন্ম অরুণ দাশগুপ্ত’র। কবিতা, চিত্রকলা, ছোটগল্প, সঙ্গীত ক্ষেত্রে তাঁর অবাধ বিচরণ। পেয়েছেন অনেক পুরস্কার। অরুণ দাশগুপ্ত রচিত ও প্রকাশিত গ্রন্থাবলী ‘রবীন্দ্রনাথের ছয় ঋতুর গান ও অন্যান্য’, ‘নবীনচন্দ্র সেন’, ‘কবিতা চিন্তা ও অন্যান্য প্রবন্ধ’, কবিতার বই ‘খাণ্ডবদাহন’।