নগরীর কোনো খালের ইঞ্চি পরিমাণ জায়গাও বেদখল থাকবে না: মেয়র রেজাউল

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী সুস্পষ্ট হুশিয়ারী উচ্চারন করে বলেছেন, নগরীর পানি চলাচলের প্রধান গতিপথ খালগুলোর এক ইঞ্চি পরিমান অংশের উপর থেকেও অবৈধ দখলদারীত্ব ও স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে

যে-যত বড়ই প্রভাব-প্রতিপত্বি¡বান হোক-না কেন এ ক্ষেত্রে কাউকে তিল পরিমাণ ছাড় দেয়া হবে না। সি.এস এবং আর.এস জরীপের নক্সা অনুযায়ী খালগুলোর সীমা-রেখা যেভাবে নির্ধারিত রয়েছে সেই অবস্থান অবশ্যই নিশ্চিত করা হবে।

তিনি আরো বলেন, নগরীর ভেতর দিয়ে প্রবহমান অনেকগুলো খাল ভূমি দস্যুদের আগ্রাসনে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। যে-গুলো এখনো প্রবহমান সেগুলোর দু’পাশের ৮-১০ ফুটের বেশি অংশ বে-দখল হয়েছে, অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। এর বিরূপ প্রভাবে নাগরিক স্বস্তি ওষ্ঠাগত। এই নগরীর স্বার্থেই যে-কোন মূল্যে খালের দু’পাশ থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও বে-দখল মুক্ত করে নাগরিক স্বস্তি নিশ্চিত করবো।

তিনি আজ বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর দক্ষিণ বাকলিয়া ইসহাকের পুল সংলগ্ন এলাকায় চসিকের খাল পরিষ্কার ও আবর্জনা অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন কালে এ কথা বলেন।

এসময় তিনি এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, মির্জাখাল-বির্জাখাল-মাঝের খাল দিয়ে বাকলিয়া এলাকার পানি কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে পড়ে। এলাকাবসীর অসচেতনতায় প্রতিনিয়ত এই তিনটি খাল পলিথিন ও আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।

অর্থাৎ কিছু এলাকাবাসী এই খালগুলোর নাব্যতা হরণের জন্য দায়ী। বারবার খাল পরিষ্কার করার পরও কিছু দিন না যেতেই খালগুলো আগের অবস্থায় ফিরে যায়। এর দায় চসিক একা নিতে পারেনা। মূল দায় এলাকাবাসীর। তারা ব্যর্থ হলে কঠোর হতে বাধ্য হবো। তিনি এ প্রসঙ্গে আরো বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সিডিএ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর সফল বাস্তবায়ন আমাদের জন্য আর্শীবাদ বয়ে আনবে। যে-কোন বড় প্রাপ্তির জন্য সাময়িক ভোগন্তি হয়।

এ ক্ষেত্রেও তা-ই হচ্ছে এবং এটা মেনে নিতে হবে। তবে আমি আশা করবো, বর্ষার কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ যেহেতু সমায়িক বন্ধ রয়েছে সেহেতু প্রকল্প বাস্তবায়ণের স্বার্থে খালের যে সকল অংশে বাঁধ বা ব্লক স্থাপন করা হয়েছে সেগুলো আপতত: সরিয়ে পানি চলাচলের পথ বাঁধামুক্ত করা হবে। চউক কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে একমত। তাই বাঁধা অপসারণ দ্রুত সম্পন্ন হলে নাগরিক ভোগান্তি লাঘব হবে।

মেয়র বাস্তবায়ণাধীন এলিভেটর এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটা বাস্তবায়ন হলে যানজট নিরসন হবে এবং মাত্র আধ ঘন্টায় নগরের কেন্দ্রস্থল থেকে বিমান বন্দরে যাওয়া যাবে। তবে আমি আশা করবো নগীর এ প্রান্তটা টাইগারপাস ওভার ব্রীজের ওপার থেকে শুরু হোক। ফলে টাইগারপাস ও ওভারব্রীজের নয়নাভিরাম যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রয়েছে তা সুরক্ষিত হবে এবং এর উপর কোন আঁচড় পরবে না।

তিনি আরো বলেন, ইদানিং ফ্লাইওভারগুলোতে অপরাধ জনিত ঘটনা ঘটছে। চলামান যানবহানকে ছিনতাই ও অপরাধ মূলক দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান।

চট্টগ্রামে বাস্তবায়নাধীন সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজের স্বার্থে নির্মাতা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার আপাতত: অন্যত্র সরানোর যে প্রস্তাব চসিককে দেয়া হয়েছে সে-ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, এ ব্যাপারে চট্টগ্রামে সংস্কৃতিসেবী, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিক, সুধীজনদের সাথে বসে শহীদ মিনার সরানো বা না-সরানোর সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কারণ শহীদ মিনার আমাদের আবেগ-অনুভূতির একটি পবিত্র জায়গা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ওয়ার্ড কাউন্সিল মো. শহিদুল আলম, মো. নুরুল আলম, সংরক্ষিত কাউন্সিলর শাহীন আক্তার রোজী, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

Welcome Back!

Login to your account below

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.