বাংলাদেশে কাঠের বিকল্প হিসেবে পুরোপুরি বাঁশের ব্যবহার শুরু হলে কমবে বৃক্ষ নিধন, রক্ষা পাবে পরিবেশ। সাথে ঘটবে অর্থনৈতিক উন্নয়নও । মূলত এমন ভাবনাকে বাস্তবে রুপান্তরিত করতে বাঁশ দিয়ে আসবাবপত্র তৈরির প্রকল্প হাতে নেন বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট ।
তরুণ বৈজ্ঞানিক গবেষণা কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম আরো জানান, তাঁরা আসবাব তৈরিতে ব্যবহার করছেন বাঁশ।এর মধ্যে আছে দেশের গ্রামাঞ্চলে পাওয়া করজবা, বাইজ্জা, তল্লা, ভুদুম, মাকলা বাঁশ। তবে আসবাব তৈরির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবহূত হচ্ছে বরাক বাঁশ। গবেষণাগারে দেখা গেছে, কাষ্ঠ যোজনা বিভাগের অধীনে চলছে বাঁশ নিয়ে গবেষণা ও আসবাব তৈরি। এখানে বাঁশ দিয়ে ২২-২৫ ধরনের আসবাব তৈরি হয়। গবেষক মাহবুবুর রহমানের কক্ষেও ব্যবহূত হচ্ছে নিজেদের কারখানায় তৈরি করা আসবাব।
কারখানা ঘুরে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেল, ২০০৫ সালে বাঁশ দিয়ে আসবাব তৈরির ভাবনা শুরু হয়েছিল। যার মূল লক্ষ্য ছিল, বাঁশ দিয়ে স্বল্প খরচে ও পরিবেশবান্ধব আসবাব তৈরি।
দেখতে অবিকল কাঠের আসবাব মনে হলেও এসব বাঁশের তৈরি। বনের কাঠের ওপর চাপ কমাতেই বাঁশ দিয়ে তৈরির এই গবেষণা চলছে। টেকসই বিবেচনায় কাঠের আসবাবপত্রের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়। এর মধ্যে আছে চেয়ার, টেবিল, ডাইনিং টেবিল, ফ্লোর টাইলস, পার্টিকেল বোর্ড, ড্রেসিং টেবিল ইত্যাদি। সেগুন কাঠের চেয়ে অর্ধেক দামে পাওয়া যাবে এসব বাঁশের আসবাব। আর নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যাবে দুই থেকে তিন যুগ পর্যন্ত ।