আপেল খোসাসহ খাওয়া উচিত নাকি খোসা ছাড়িয়ে, এই নিয়ে জনমানসে দ্বন্দ্বের শেষ নেই। তবে যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা অনেকেই খোসা ছাড়িয়ে আপেল খাওয়ার পক্ষপাতী।
কারণ অনেকেরই ধারণা যে, খোসাতে কীটনাশক জাতীয় পদার্থ থাকে, যা মানবদেহের ক্ষতি করতে পারে। এই ধারণা একেবারে নস্যাৎ করে দিয়েই বলা যায় যে, আপেলের খোসাতেও এমন কিছু উপকারী উপাদান থাকে, যা শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
কীভাবে খাবেন আপেল? পুষ্টিবিদরা বলছেন, খোসাসহ আপেল খেলেই এর পুরোপুরি পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। তবে আপেল খাওয়ার আগে হালকা গরম পানি দিয়ে আপেলটি দুই-তিন বার ধুয়ে নেওয়া জরুরি।
আপেলের খোসা কীভাবে যত্ন নেয় শরীরের?আপেলের খোসায় দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় দুই ধরনের ফাইবার থাকে। যা কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।
এছাড়াও কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে আপেলের খোসা।আপেলের খোসায় আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ ও ‘এ’। গড়ে প্রতিটি আপেলের খোসায় ৮ দশমিক ৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ থাকে। আপেলের খোসা ছাড়িয়ে ফেললে শরীরে ভিটামিনের অভাব ঘটতে পারে।
২০০৭ সালে কর্নেল ইউনিভার্সিটির করা একটি সমীক্ষা অনুসারে, আপেলের খোসায় ট্রাইটারপেনয়েড নামক যৌগ থাকে, যা মানবদেহের ক্যানসার কোষকে বিনাশ করতে সাহায্য করে। এছাড়া অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টসমৃদ্ধ আপেলের খোসা ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
আপেলের খোসায় কোয়ারসেটিন নামক একটি ফ্ল্যাভনয়েড থাকে যা ফুসফুস ভালো রাখতে সাহায্য করে। যারা প্রতি সপ্তাহে পাঁচটি বা তার বেশি আপেল খান তাদের শ্বাসযন্ত্র অনেকের চেয়ে ভালো থাকে।
আপনি যদি অতিরিক্ত ওজন ঝরাতে চান তাহলে খোসাসহ আপেল খেতে পারেন। কারণ আপেলের ত্বকে আছে ইউরসোলিক অ্যাসিড, যা আপনার অবাঞ্ছিত ক্যালোরি ঝরাতে সাহায্য করে।