তুরস্কের ব্লু মসজিদের আদলে চন্দনাইশে মডেল মসজিদ নির্নাণ করা হয়েছে।তুরস্কের ব্লু মসজিদের আদলে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার ফতেনগর গ্রামে নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টি নন্দন একটি জামে মসজিদ। ফতেনগর সিকদার বাড়ি জামে মসজিদটি দেখতে ও নামাজ পড়তে দূর দূরান্ত থেকে মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্মের লোকজন ছুটে আসে।
মসজিদের পশ্চিমপাশে পুকুরের পানি ঘেঁষে মিম্বর নির্মিত হওয়ায় পশ্চিম পাশ থেকে মসজিদটি দেখতে আরো দৃষ্টিনন্দন মনে হয়। মসজিদের ভিতরে চারপাশে কাঠের ফ্রেম তৈরি করে নামাজের সু-ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মাঝখানে গম্বুজ বরাবর খালি রেখে শৈল্পিক কারুকাজের মাধ্যমে দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে। মসজিদের প্রতিটি অংশে মূল্যবান সেগুন কাঠে বিভিন্ন রকমের অংকিত শিল্পীর শৈল্পিক কারুকার্য যে কারো দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে যানবাহন করে মসজিদটি দেখতে যায় অনেকে। মসজিদের দক্ষিণ পাশে কবরস্থানসহ আশেপাশে ফুলের বাগান যেন বিকাল বেলা অন্যরকম পরিবেশের সৃষ্টি করে। উপজেলার ফতেনগর সিকদার বাড়িতে প্রতিথযশা আইনজীবী বদিউল আলমের ছেলে, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, কঙ্গোর অনারারি কনসাল, হিজ এক্সিলেন্সি জিয়া উদ্দিন আদিল ও তার সহধর্মিনী সাবেক মার্কিন দূতাবাস কর্মকর্তা সালমা খানমের সার্বিক প্রচেষ্টায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঐতিহাসিক অটোমান মুসলিম স্থাপত্যের আদলে বিগত ৮ বছর কাল ধরে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়।
তুরস্কের ঐতিহাসিক অটোমান মুসলিম স্থাপত্যের আদলে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন শিকদার বাড়ি জামে মসজিদ কমপ্লেক্সটি চন্দনাইশ উপজেলায় নয় পুরো দক্ষিণ চট্টগ্রামের একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ হিসেবে স্বীকৃতি পাবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। ২০১৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। সম্প্রতি মসজিদের কাজ শেষ হয়েছে।
ফতেনগর সিকদার বাড়িতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রায় ১০ কোটি টাকার অধিক ব্যয়ে তুরস্কের ব্লু মসজিদের আদলে নির্মিত হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ফতেনগর সিকদার বাড়ি জামে মসজিদ। চন্দনাইশ উপজেলার ফতেনগর গ্রামে সিকদার বাড়ি জামে মসজিদটি কবরস্থানসহ ২ একর জমির উপর পুকুরসহ নির্মাণ করা হয়েছে।