যেভাবে হয়েছে বাঁশখালির নামকরণ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp

বাঁশখালী নামের উৎপত্তি সম্পর্কে প্রামাণ্য কোন তথ্য পাওয়া যায়না, এই নামের উৎপত্তি কবে হয় তা সঠিক ভাবে জানার শত চেষ্টা করেও সফল হওয়া যায়নি, নানা মুনির নানা মত হওয়ায় যুক্তি থাকা স্বত্ত্বেও তা গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। এ ক্ষেত্রে বাঁশখালীর প্রবাদ পুরুষ বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ড. আবদুল করিম প্রণীত “বাঁশখালীর ইতিহাস ও ঐতিহ্য” গ্রন্থে চারটি কিংবদন্তির উল্লেখ আছে

বাঁশখালী পাহাড়ের পূর্বে সাতকানিয়া উপজেলা অবস্থিত। কথিত আছে যে, ঐ এলাকায় ২ ভাই ১ বোনের এক পরিবার ছিল। বোনটির বিয়ে হয় পশ্চিমে অর্থাৎ বাঁশখালীতে, সে সেখানে স্বামীসহ জমি আবাদ করে বাস করতে থাকে। পরবর্তীতে পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে ভাই বোন বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। বিবাদের এক পর্যায়ে বোনের পক্ষে মারামারিতে প্রচুর বাঁশ ব্যবহার করা হয়। এক পর্যায়ে বাঁশ ঝাড়ে আর কোন বাঁশ অবশিষ্ট না থাকায় বোনের পক্ষের লোকেরা বলতে থাকে বাঁশ সব শেষ করে দিল অর্থাৎ বাঁশ কেটে খালী করে দিয়েছে। এইভাবে বাঁশ খালী বলতে বলতে এর নামকরণ হয়।

আবার অনেকেই তো বলে থাকেন বাঁশখালীর নামকরণ অন্য ভাবে হয়েছে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় একেক জনের একেক মতবাদ। তারা নিজেরাও জানেন না সঠিক তথ্য। অনেকি শোনা কথা বিশ্বাস করে আছেন।

পরিশেষে বলতে হয় ড. আবদুল করিমের আলোচিত শেষেক্তো বর্ণনাটি সর্বাধিক প্রচলিত। তাঁর মতে দ্বিতীয় কিংবদন্তির যৌক্তিকতা থাকতে পারে, তবে এতে যে জরিপটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা যদি ইংরেজ আমলে হয়ে থাকে তবে তা ইংরেজ আমলের আগেই বাঁশখালীর নামকরণ করা হয়ে থাকবে। তাই কিংবদন্তিটি সত্য হতে পারেনা। প্রথম কিংবদন্তিটি যেহেতু বাঁশ কেটে খালী করার সাথে সম্পৃক্ত তাই এটি সত্য কিংবা সত্য নাই হউক না কেন এতে ধরে নেয়া যায় যে, বাঁশ এবং খালী দুই শব্দের সহমিলনে বাঁশখালী নামটি গঠিত।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

Welcome Back!

Login to your account below

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.