নব নির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেপয়ারুল ইসলাম বলেছেন, আমি কোনো নির্দিষ্ট এলাকার নয়, পুরো চট্টগ্রামের সেবক হতে চাই। আমার ঘোষিত ১২ দফা আমি অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়ন করবো। আমার সেবার আকার হবে বহুমুখী। বুধবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে নির্বাচন পরবর্তী সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
এটিএম পেয়ারুল ইসলাম চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। তিনি বলেন, স্কুলবেলায় জাতিতর পিতার আদর্শে রাজনীতির সাথে হয়েছি মানবসেবার ব্রত নিয়ে। মানুষের সেবা করার যে সুযোগ পেয়েছি তা প্রতিমুহূর্তে কাজে লাগাবো। সকল জনপ্রতিনিধি ও বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে উন্নয়নের রোডম্যাপ তৈরি করে পরিকল্পিত উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানে জেলা পরিষদকে রূপান্তর করবো।
তিনি বলেন, প্রতিটি উপজেলায় সুষম বন্টনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ‘গ্রাম হবে শহর’ বাস্তবায়নে যথাযথ ব্যবস্থা নেবো। এই জেলা পরিষদকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলবো।
আরও পড়ুন: মাত্র ৪ শতাংশ ভোট পেলেন নারায়ন, বড় ব্যবধানে জয় পেয়ারুলের
এটিএম পেয়ারুল ইসলাম ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফটিকছড়ি আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন রাউজানের বাসিন্দা বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সাথে।
সে নির্বাচনে নিজের পরাজয়ের কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ভেতরে বাইরে নানামুখী ষড়যন্ত্র করে আমাকে হারানো হয়েছে। আমার এলাকার ১১ হাজার ‘না ভোট’ যদি সে নির্বাচনে না পড়তো তাহলে আমিই বিজয়ী হতাম।
নিজেকে সৎ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ দাবি করে পেয়ারুল বলেন, নানামুখি ষড়যন্ত্র, জীবননাশের হুমকি সত্তে¡ও আপোষহীন, সাহসী, দৃড়চেতা, সৎ পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছি। সততার সাথে রাজনীতিকে ইবাদত মনে করেছি আর আওয়ামী লীগের রাজনীতি করাকে পুণ্যের কাজ মনে করি।
সাকা চৌধুরীকে চড় দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভোটগ্রহণকালে ফটিকছড়ির জাহানপুর কেন্দ্রে স্বভাবসূলভ ভঙ্গিতে সাকা চৌধুরী আমার প্রিয় নেত্রী এবং আমাকে প্রকাশ্যে গালিগালাজ শুরু করে। প্রতিবাদ স্বরূপ তাঁর গালে কষে চড় লাগিয়ে দিয়েছিলাম আমি।
১৯৭৯ সালের নির্বাচনে সাকা চৌধুরী ফটিকছড়ি আসনে প্রার্থী হয়ে নিজেকে ‘ব্যারিস্টার’ হিসেবে প্রচার করে। তখন আমি প্রতিবাদ করে তাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলাম, প্রচার করেছিলাম-তিনি ভুয়া ব্যারিস্টার। তারপর সাকা চৌধুরী তার নামের শুরুতে ব্যারিস্টার শব্দটি বাদ দিতে বাধ্য হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের বিদায়ী চেয়ারম্যান উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, ফটিকছড়ির সাবেক সংসদ সদস্য মাজহারুল হক শাহ চৌধুরী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, প্রকৌশলী প্রবীর সেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী প্রমুখ।