পুলিশ এবং সাধারণ মানুষ এক সাথে বসে বই পড়ছে। যে দৃশ্য সচারাচর দেখা মেলে না। এই চিত্র দেখা যায় চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানার নবগঠিত পাঠাগারে। থানাকে নগরবাসীর আশ্রয়স্থল হিসেবে গড়ে তুলতে চট্টগ্রাম মহানগরীর ১৬টি থানায় স্থাপন করা হয়েছে পাঠাগার।
থানায় বিভিন্ন প্রয়োজনে সেবা নিতে আসা মানুষদের অপেক্ষমান সময়ে কাটাতে বই পড়ার এই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। গল্প, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ, ইতিহাস কিংবা দর্শন; দেশি বিদেশি বিভিন্ন ধরনের লেখকের বইয়ের সম্ভারে সাজানো হয়েছে এসব পাঠাগার।
থানায় পাঠাগারে স্থান করে নেওয়া এসব বই থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের মন-মানসিকতায় ভিন্ন ধরনের চিন্তা ভাবনার খোড়াক জোগায়। এছাড়া লাইব্রেরিতে বই পড়ার সুযোগ রয়েছে এলাকাবাসীরও। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের এমন অভিনব উদ্যোগের জন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন এখানে বই পড়তে আসা দর্শনার্থীরা।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর মন রাখতে ঘূর্ণায়মান বাড়ি নির্মাণ করেন ভোজিন কুসিক
স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্র, সমাজ, আইন সব কিছুতে এসেছে পরিবর্তন। থানায় পাঠাগার গঠনের এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, এত বছর পরে যে একটা কার্যক্রম শুরু করেছে, এটা খুবই উত্তম। খুবই ভালো উদ্যোগ।
থানায় গড়ে ওঠা প্রতিটি পাঠাগারে বইয়ের সংখ্যা ৩০০ থেকে ৬০০। জ্ঞান অর্জন, সুস্থ মানসিকতা তৈরির পাশাপাশি মননশীলতায় এসব পাঠাগার ভূমিকা রাখবে এমনটাই প্রত্যাশা সবার।