চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামীর মাজারের পাদদেশে একটি সুবিশাল দীঘিতে দেখা যায় বিরল প্রজাতির জ্বীনরুপি কচ্ছপ। জনশ্রুতি আছে মাজার প্রতিষ্ঠাকালে এই অঞ্চলে প্রচুর দুষ্টু জ্বীন এবং পাপিষ্ঠ আত্মার পদচারণা ছিল। বায়েজিদ বোস্তামী এই অঞ্চলে ভ্রমণকালে এসব দুষ্টু আত্মাকে শাস্তিস্বরূপ কচ্ছপে পরিণত করেন এবং আজীবন পুকুরে বসবাসের দণ্ডাদেশ দেন।
তবে আঞ্চলিকভাবে এদের মাজারী ও গজারী বলে আখ্যায়িত করা হয়। এখানে বেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসে। মানুষের ধারণা এখানে আসলে মনের বাসনা পুরণ হয়। বোস্তামীর কচ্ছপ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি অত্যন্ত বিরল এবং চরমভাবে বিপন্নপ্রায় প্রজাতি। বর্তমানে বায়েজিদ বোস্তামীর মাজার প্রাঙ্গন ব্যতীত বিশ্বের আর কোথাও এদের দেখা মেলে না।
আরও পড়ুন: হযরত বায়েজিদ বোস্তামী (রহ), ১২০০ বছর ধরে টিকে আছে মাতৃভক্তির যে ইতিহাস
১৯৩১ সালে প্রাণিবিজ্ঞানী ম্যালকম স্মিথ তার ফনা অব ব্রিটিশ ইন্ডিয়া গ্রন্থে উল্লেখ করেন, ভারতবর্ষে ‘নিলসোনিয়া নিগরিকেন টার্টেল’ বা বোস্তামি কাছিম একমাত্র বায়েজিদ বোস্তামির মাজারে পাওয়া যায়।
মাজার প্রাঙ্গন সংলগ্ন এই দীঘিতে দেড়শ’ থেকে সাড়ে তিনশ’ কছিম প্রজনন মৌসুমে, মাজারের মূল পাহাড়ের পেছনে সংরক্ষিত স্থানে ডিম পাড়ার ব্যবস্থা করা হয়।