খাবারের ক্ষেত্রে এশিয়া সবসময় বৈচিত্র্যপূর্ণ। স্ট্রিট ফুডের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয়। এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও স্ট্রিট ফুড বেশ জনপ্রিয়। আর এসব খাবারের মধ্যে অন্যতম হলো ফুচকা। মুখরোচক এ খাবারটি এবার পেয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের ট্র্যাভেলে প্রকাশিত জনপ্রিয় ‘কোয়েস্টস ওয়ার্ল্ড অব ওয়ান্ডার’ সিরিজের অংশ হিসেবে এশিয়ার ৫০টি সেরা স্ট্রিট ফুডের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশের ফুচকা। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পেঁয়াজ, শসা, ধনেপাতা, কাঁচামরিচ এবং বিশেষ মসলা মেশানোর পর এই ফুচকা আরও বেশি সুস্বাদু হয়ে ওঠে। এটি সাধারণত তেঁতুল মিশ্রিত পানি (টক) বা সস দিয়ে পরিবেশন করা হয় এবং এর ওপর সেদ্ধ ডিমের কুচি এবং সালাদও দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিয়ের এক মাস আগে থেকেই কান্নার রীতি যেখানে
দেশে বিভিন্ন ধরনের ফুচকা পাওয়া যায় তারমধ্যে নরমাল ফুচকা,দই ফুচকা,ঝাল ফুচকা অন্যতম। আর স্বাদ এবং পরিমাণে এসব ফুচকার দাম ভিন্ন রকম। মুখরোচক এই খাবার ছোট বড় সবার কাছেই সমান জনপ্রিয়। অন্যান্য খাবারের তুলনায় সাধারণত মেয়েরা ফুচকা বেশি ভালোবাসে।
সন্ধ্যা নামলেই চট্টগ্রামে দেখা যায় ফুচকা প্রেমীদের ভিড়। ফুচকা এতটাই জনপ্রিয় যে,নগরীর কোন কোন জায়গায় ফুচকার স্পেশাল রেস্টুরেন্টের দেখাও মেলে।এসব অভিজাত রেস্টুরেন্টের স্পেশাল রেসিপি ফুচকা। এখানে ফ্যামিলি স্পেশাল ফুচকা ৩০০ টাকা সিঙ্গেল ঝাল প্লেটার ১৩০ টাকা এবং দই ফুচকা ১৩০ টাকায় পাওয়া যায়।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় এই খাবার ভারতে পানিপুরি, গোল গাপ্পা ও গুপচুপ নামেও পরিচিত। বাংলাদেশের ফুচকা ছাড়াও শ্রীলংকার আচ্ছরু, পাকিস্তানের বান কাবাব ও ফালুদা, হংকংয়ের চিওং ফান, ভারতের জালেবি, থাইল্যান্ডের খাও সোই, দক্ষিণ কোরিয়ার কিমবাপ,নেপালের মোমো, সিঙ্গাপুরের ঝাল কাঁকড়া, ভুটানের এমা দাতশি এবং ইন্দোনেশিয়ার গাদো গাদো।