১৫ টাকার ঢেড়স ৫০ টাকা এবং ১৮ টাকার ঝিঙা কিভাবে ৬০ টাকা হয়? বাজার ঘুরে সে চিত্রই ওঠে এসেছে চিটাগাং লাইভ-এর প্রতিবেদনে।
চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় কাঁচা বাজারের আড়ৎ রিয়াজুদ্দিন বাজার। নগরীর চৈতন্য গলিতে দেখা যায় পাইকারি ও আড়ৎদারদের দর কষাকষি এবং শ্রমিকদের হাঁকডাক। মূলত এখান থেকেই শহরের বিভিন্ন বাজারে সব্জি সরবরাহ করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে এসব আড়তে দেখা যায় শশা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকায়, কাঁকরল ২৫-৩০ টাকা, ঢেড়স ১৫-২০ টাকা এবং ঝিঙা বিক্রে হচ্ছে ১৮-২০ টাকায়। কিন্তু নগরীর কাজির দেউড়ি এবং কর্ণফুলী মার্কেটে খুচরা বাজারে এসব সবজির দাম কেজি প্রতি ২০-৩০ টাকা বেশি রাখছেন ব্যবসায়ীরা। সবজির দামের বিশাল এই পার্থক্যের কথা জানান বিক্রেতারা।
তবে সবজির দামের এই পার্থক্যের কথা জানেন না সাধারণ ভোক্তারা। কেউ না কিনে চলে যায়, কেউবা বাধ্য হয়ে কিনেন। এমনটাই জানালেন ক্রেতারা।
আরও পড়ুন: মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এল কোটি টাকার প্রাচীন স্বর্ণমুদ্রা
জেলার বিভিন্ন প্রান্তিক অঞ্চল থেকে কয়েকবার হাতবদল হয়ে আসে এসব সবজি। প্রথমে ব্যাপাররা কৃষকদের কাছ থেকে নেয় এরপর আসে এসব আড়তে। এখানে আড়ৎদাররা কমিশনের ভিত্তিতে পাইকারি হারে বিক্রি করে এসব কাঁচামাল।
দামের এ বিশাল পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের ব্যবধান। বেশি দামে সবজি-তরকারি কিনলেও যারা কষ্ট করে এসব ফলাচ্ছেন তারা পাচ্ছেন না ন্যায্যমূল্য আবার অতিরিক্ত দামে কিনতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষেরও। এ থেকে মুক্তি পেতে ভোক্তা অধিকারের অভিযান প্রয়োজন বলে মনে করছেন ক্রেতারা।