বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জ্বালানি তেলের বর্তমান মূল্যবৃদ্ধিতে নার্ভাস হওয়ার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে দেশেও তেলের দাম কমানো হবে। শনিবার (৬ আগস্ট) সকালে এক টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে যখন সারাদেশের মানুষ ফুঁসে উঠছে তখন মন্ত্রী এ কথা বললেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আগে থেকেই বারবার বলে আসছি আমাদের বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে। এখন আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে তেলের দাম বাধ্য হয়েই বাড়িয়েছে সরকার।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাতে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণা দেয় সরকার। ভোক্তা পর্যায়ে লিটারপ্রতি ডিজেল ১১৪ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ১৩০ টাকা নির্ধারণ করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে ব্যাপক লোকসানের হাত থেকে বাঁচাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখনও সময় আছে প্রয়োজন ছাড়া যেন আমরা যত্রতত্র ডিজেল ব্যবহার না করি। দেশবাসীকে একটু ধৈর্য ধরতেই হবে। জ্বালানি তেলের নতুন দাম হয়তো বা সবার জন্য সহনীয় হবে না। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সরকারের কাছে মূল্যবৃদ্ধি ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি বার বার বলে আসছি আপনারা সাশ্রয়ী হন, তেল কম ব্যবহার করেন, গাড়ি কম ব্যবহার করেন। কারণ, যানবাহন সেক্টরে সবচেয়ে বেশি ডিজেল ব্যবহার করা হয়। মাত্র ১০ শতাংশ ডিজেল ব্যবহার হতো বিদ্যুতে। আমি মনে করি, এখনো যানবহন নিয়ন্ত্রণ করার সময় আছে।
নসরুল হামিদ বলেন, আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনে মাত্র ১০ শতাংশ ডিজেল ব্যবহার হয়। সবচেয়ে বেশি ডিজেল ব্যবহার হয় পরিবহন খাতে। এজন্য সবাইকে বলি আপনারা যত সম্ভব পারেন তেলের অপচয় কম করেন।