বাংলাদেশেই বিশ্বকাপের আসর বসবে শুনে আমি খুব রোমাঞ্চিত: জ্যোতি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp
tigress captain

২০২৪ সালে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আইসিসির বার্ষিক সম্মেলনে এই অনুমোদন দেয়া হয়। ঘরের মাঠে অনুষ্ঠেয় এই আসর নিয়ে এখনই উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশ দলের অনেকেই। তাদেরই একজন বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ অধিনায়ক জানালেন, নিজের ঘরেই ট্রফি রেখে দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন তারা।

এর আগে ২০১৪ সালে পুরুষ ও নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ। ১০ বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক হবে বাংলাদেশ।

প্রশ্ন: এরই মধ্যে নিশ্চয় খবর পেয়ে গেছেন, ২০২৪ সালে টি-টুয়েন্টি নারী বিশবকাপের আয়োজক হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
জ্যোতি: খবরটা শোনার পর আমি খুব রোমাঞ্চিত। কারণ নিজের দেশে বিশ্বকাপ খেলার মতো সৌভাগ্য সবার হয় না। জানি না কী হবে, বেঁচে থাকলে খেলার সুযোগ, পেলে আমাদের জন্য বড় একটা বিষয়।

প্রশ্ন: ঘরের মাঠে বাড়তি অনুপ্রেরণা কী?
জ্যোতি: নিজের দেশের একটা বাড়তি সুবিধা থাকে। দর্শকদের সমর্থন থাকে, যা দলকে অনুপ্রাণিত করতে অনেক বেশি সাহায্য করে।

প্রশ্ন: এশিয়া কাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। ২০১৮ এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জেতে সালমা খাতুনের দল। এবারের পরিকল্পনা কী?
জ্যোতি: ২০১৮ সালের পর আর এশিয়া কাপ হয়নি, আমরা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হয়ে আছি। সালমা আপুর হাতে শিরোপা এসেছে, এবার যেহেতু আমাদের মাঠে খেলা, দল হিসেবেও আমরা শক্তিশালী। কারণ নিজের মাঠে সবাই সেরা।

প্রশ্ন: প্রস্তুতি কেমন?
এশিয়া কাপের আগে আমরা যেহেতু বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব খেলব, আমাদের জন্য ভালো প্রস্তুতি হবে। এখনও কিন্তু আমাদের হাতে অনেক বেশি সময় আছে। এখনই ওটাতে এগোতে চাচ্ছি না। আমাদের পরের যে বিশ্বকাপ বাছাই, যেটা না হলে হয়তো পরের বিশ্বকাপটা খেলতে পারব না আমরা, সেটাতে নজর দিচ্ছি। সামনের বিশ্বকাপের জন্য অনেকগুলো টি-টোয়েন্টি খেলতে পারব, অনেকগুলো দ্বিপক্ষীয় সিরিজও আছে, যেগুলোতে অন্তত তিনটা টি-টোয়েন্টি খেলব। যা পরের বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত করে ফেলবে। আমার কাছে মনে হয় ধাপে ধাপে এগোনো ভালো।

প্রশ্ন: নারী বিশ্বকাপ বাংলাদেশে কেমন প্রভাব ফেলতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
জ্যোতি: আইসিসি যখন থেকে নারীদের ইভেন্টগুলো ভাগাভাগি করছিল, তখন থেকে কিন্তু লক্ষ্য এটাই ছিল যেন আইসিসি নারী ক্রিকেটকে আরও বেশি প্রমোট করতে পারে। আমার কাছে মনে হয়, যেহেতু শুধু এটা নারীদের বিশ্বকাপ, বিশ্বজুড়ে ভালো নজরে থাকবে, আর বাংলাদেশ ক্রিকেটেও ফোকাস থাকবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

Welcome Back!

Login to your account below

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.