করোনা নিয়ন্ত্রণে চলমান বিধিনিষেধে রাজধানীর গুলশানে চেকপোস্টে কর্তব্যরত অবস্থায় প্রাইভেটকারের চাপায় গুরুতর আহত পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। চাপা দেওয়ার পর প্রাইভেটকারটি জব্দ করেছে পুলিশ।
আজ রোববার (১১ জুলাই) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) মো. ইফতেখায়রুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, জাতীয় নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকালে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক চালক তৌহিদুল ইসলামকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, গত ৪ জুলাই রাতে লিটন মিয়া গুলশান-১ নম্বর গোলচত্বরে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় কালো রঙের একটি প্রাইভেটকার চেকপোস্টের সামনে এলে গাড়িটি থামানোর সংকেত দেন এএসআই লিটন। চালক গাড়ি না থামিয়ে লিটনকে ধাক্কা দেন। এতে তিনি গাড়ির বনেটের ওপর পড়েন। এই অবস্থায় গাড়িটি না থামিয়ে দ্রুত গতিতে গুলশান থেকে গাড়ি চালিয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার শান্তা টাওয়ারের সামনে লিটনকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান চালক।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত লিটনকে হাসপাতালে নিয়ে যান। গুলশানের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে গাড়ির নম্বর সংগ্রহ করে গুলশান থানা পুলিশ। পরে অভিযান চালিয়ে গত ৫ জুলাই ঘাতক চালক তৌহিদুলকে গ্রেপ্তার করে এবং গাড়িটি জব্দ করা হয়। ৬ জুলাই সকালে তৌহিদুলের রিমান্ডের আবেদন করে তাকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান সংবাদমাধ্যমকে জানান, চালক তৌহিদুলের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।