আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহায় কোরবানীর পশুর বর্জ্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপসারণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ ও ব্যবস্থাপনাগত বিন্ন্যাস নিশ্চিত করার কথা জানান দিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ঈদুল আযহার দিন পশু কোরবানীর পর, পরবর্তী ১০ ঘন্টার মধ্যে নগরীর সকল অলিগলি থেকে পুশুর বর্জ্য ও আবর্জনা সংগ্রহ করে দু’টি ট্রেন্সিং গ্রাউন্ডে ডাম্পিং করা হবে।
এ লক্ষ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটি, পরিচ্ছন্ন বিভাগ ও বিদ্যুৎ উপ-বিভাগ, যান্ত্রিক শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা ও পরামর্শ সাপেক্ষে করনীয় সকল সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
তিনি গতকাল ৮ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ের তাঁর অফিস কক্ষে বিভাগীয় ও শাখা প্রধানদের সাথে এক বৈঠকে এ কথা জানান।
মেয়র আরো জানান, বর্জ্য অপসারণ ও ডাম্পিংয়ে যান্ত্রিক শাখার যে-সকল সরঞ্জামসহ বিভিন্ন ধরনের ২শতটি পরিবহণ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে ভাড়ায় আরো পরিবহনণ সংযুক্ত করা হবে।
তিনি বলেন, ঈদুল আযহায় পশু কোরবানীর বর্জ্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপসারণের ক্ষেত্রে চসিকের পূর্ব সুনাম রয়েছে। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে ঈদের দিন ও পরের দিন চেিসরক পরিচ্ছন্ন ও যান্ত্রিক বিভাগের জনবল মাঠে থাকবে।
ঈদেও দিন রাত ১০টার পর কোথাও কোরবানীর পশুর বর্জ্য পড়ে থাকলে তা চসিক কন্ট্রোলরুমে জানানো হলে তাৎক্ষনিকভাবে অপসারণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, নগরীর দু’টি আবর্জাগার ( ট্রেন্সিং গ্রাউন্ড) বর্জ্য ডাম্পিংয়ের জন্য সমান করা হয়েছে এবং আবর্জনাবাহী গাড়ী যাতায়াতের পথগুলো চলাচল উপযোগী করা হয়েছে।
তিনি জানান, নগরীতে কোরবানীর পশু হাট-বাজার গুলোতে যাতে লোক সমাগম সীমিত থাকে এবং স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা যাতে উপেক্ষিত না থাকে সে ব্যাপারে চসিক কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, জোন প্রধান আফিয়া আক্তার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী ও স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌস, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, উপ-প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, ঝুলন কুমার দাশ ও উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।