করোনা গণটিকার বয়স কমালো সরকার, শিগগিরই নিবন্ধন

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp

মহামারি করোনা ভাইরাসের গণটিকার বয়স কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গণটিকার কার্যক্রম শিগগিরই চালু হচ্ছে বলে জানা গেছে।

আজ সোমবার (৫ জুলাই) বেলা ১১টায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, খুব তাড়াতাড়িই খুলে দেওয়া হচ্ছে টিকা নিবন্ধন অ্যাপ। পাশাপাশি গণটিকার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়সসীমা ৪০ থেকে কমিয়ে ৩৫ করা হচ্ছে। বর্তমানে ৪০ বছরের বেশি বয়স হলে টিকা নেয়ার জন্য নিবন্ধন করা যায়। টিকা নিবন্ধন শুরুর দিকে ৫৫ বছর বয়সীরা নিবন্ধন করার অনুমোদন পেয়েছিলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘গণমানুষের জন্য বড় পরিসরে টিকা কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে। এ জন্য গণমানুষের জন্য নিবন্ধন দ্রুত সময়ের মধ্যে খুলে দেয়া হবে। ৩৫ বছরের বেশি বয়সীরা টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবে।’

করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা সংকটের কারণ দেখিয়ে গত ৫ মে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ কোম্পানি ফাইজার ও চীনের সিনোফার্ম উদ্ভাবিত টিকা বিবিআইবিপি-করভির ডোজ হাতে আসার পর সরকার ৩ শ্রেণির জন্য নিবন্ধন অ্যাপ খুলে দেওয়া হয়।

আজ সোমবার (৫ জুলাই) দুপুরে সুরক্ষা পোর্টালে ভিজিট করে দেখা যায়- ‘সম্মুখ সারির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, চিকিৎসা শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছাত্র ছাত্রী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের ছাত্র ছাত্রী।’ এই তিন বিশেষ শ্রেণির মানুষদের জন্য নিবন্ধন অ্যাপ চালু রয়েছে। বাকিদের নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত কিছুদিনের মধ্যে আসবে বলে জানা গেছে।

আসন্ন ঈদুল আজহায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসবে। এর বাইরে হাট বসতে দেওয়া হবে না। এমন সিদ্ধান্তই নিয়েছে সরকার। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সুপারিশ করছে কোরবানির হাট ফিজিক্যাল না করে অনলাইনে করতে।

এ বিষয়ে আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেন, ‘গত বছর কোরবানির পশুর হাট ফিজিক্যাল হওয়ার কারণে করোনা সংক্রমণে বেড়ে যায়। সেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে অনেক সময় লাগে, যে কারণে এবার কোরবানির হাট ফিজিক্যাল না করে অনলাইনে করার সুপারিশ করেছি।’

তিনি আর বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ দুই সপ্তাহ বাড়ানোর বিষয়ে সুপারিশ করেছিলাম। সরকার ১ সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছে। এই কঠোর বিধিনিষেধ আরও ১ সপ্তাহ বাড়ানোর বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।’

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

Welcome Back!

Login to your account below

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.