বাঁশখালীতে পাহাড় কাটা: জেলা প্রশাসকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতের রুল

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp

বাঁশখালী উপজেলার গুনাগরি এলাকায় পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করা ও ধধংস করা পাহাড়কে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনা সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের রায় পালন না করার অভিযোগে সাবেক জেলা প্রশাসক ও বর্তমানে পাট সচিবসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ রোববার, বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রিপন বাড়ৈ।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার সরকারি গুনাগরি পাহাড় কেটে ২০১১ সালে স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী মাটি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে পাহাড় ধ্বংস করে। এ সংবাদ মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) একটি রিট পিটিশন দায়ের করে। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন। পরবর্তীতে রুল শুনানি শেষে ২০১৮ সালের ৭ মে বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ রুল অ্যাবসলিউট করে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন করেন।

এক. বিশেষজ্ঞ মতামত নিয়ে এক বছরের মধ্যে গুনাগড়ি পাহাড়কে পূর্বের মতো অবস্থায় ফিরিয়ে আনা এবং সরকারের কাছ থেকে এ ব্যাপারে কাজের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করা।

দুই. পাহাড়কে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে যে অর্থ খরচ হবে তা মাটি বিক্রি করার জন্য দায়ীদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে আদায় করা।

তিন. যে সকল সরকারি অফিসারদের দায়িত্ব পালনের সময় তাদের নিষ্কিয়তায় পাহাড় ধ্বংস করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

এ রায় অনুসারে যথাযথ ব্যবস্থা না নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের বর্তমান ও পূর্বের দায়িত্ব পালনরত ৯ জন সরকারি অফিসারের বিরুদ্ধে এইচআরপিবি আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করে।

মনজিল মোরসেদ আরও জানান, আবেদনের শুনানি নিয়ে গত জুন হাইকোর্ট বিবাদীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন। রুলে ২০১৮ সালের ৭ মে’র রায় অমান্য করায় কেন বিবাদীদের আদালত অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত করা হবে না তা জানাতে চেয়েছেন।

চার সপ্তাহের মধ্যে চট্টগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসক ও পাট সচিব মো. আবদুল মান্নান, বর্তমান জেলা প্রশাষক মো. মমিনুর রহমান, চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ সুপার একেএম হাফিজ আখতার, বর্তমান পুলিশ সুপার এস এম রাশিদুল হক, বাঁশখালীর সাবেক ইউএনও সাব্বির ইকবাল, বর্তমান ইউএনও সাইদুজ্জামান চৌধুরি, বাঁশখালীল সাবেক ওসি আবদুল মালেক, মো. সাজাহান খান এবং বর্তমান ওসি শফিউল কবিরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

Welcome Back!

Login to your account below

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.