পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে চট্টগ্রাম নগরে তিনটি স্থায়ী ও তিনটি অস্থায়ী পশুর হাট বসবে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সিটি করপোরেশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৭টি শর্তে তিনটি অস্থায়ী পশুর হাটের অনুমোদন দিয়েছে। সিটি করপোরেশন তিনটি স্থায়ী হাটের পাশাপাশি সাতটি অস্থায়ী হাট বসানোর জন্য আবেদন করেছিল।
১২ জুলাই থেকে কোরবানির আগের দিন পর্যন্ত এসব অস্থায়ী হাট চলবে।
কোরবানির পশুর এই তিনটি অস্থায়ী হাট বসবে যে তিন জায়গায়, সেগুলো হল— কর্ণফুলী পশুর হাট (নূরনগর হাউজিং এস্টেট), সল্টগোলা রেলক্রসিং পশুর হাট এবং পতেঙ্গা বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টিকে গ্রুপের খালি মাঠ। গত কোরবানির ঈদে তিনটি স্থায়ী পশুর হাটের পাশাপাশি চারটি অস্থায়ী হাট বসেছিল নগরীতে।
বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরীতে তিনটি স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে। এগুলো হচ্ছে সাগরিকা, বিবিরহাট ও পোস্তারপাড় বাজার।
অস্থায়ী পশুর হাট বসাতে এবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে যেসব শর্ত মানতে হবে, সেগুলো হচ্ছে—
১. পশুর হাট মূল সড়ক থেকে কমপক্ষে ১০০ গজ দূরে বসাতে হবে— যাতে কোনো অবস্থাতেই মূল সড়কে যানচলাচলে বিঘ্ন না ঘটে।
২. পশুর হাট বা সীমানার বাইরে পশু রাখা যাবে না। সড়কে যাতে পশুর হাট বসানো না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। মূল সড়কে পশু বাঁধার কোনো প্রকার খুঁটি বসানো যাবে না।
৩. ইজারা থেকে পাওয়া অর্থের ২০ ভাগ ভূমি রাজস্ব খাতে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে ইজারা প্রদানের ৭ কার্যদিবসের মধ্যে জমা দিতে হবে।
৪. করোনা সংক্রমণরোধে পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। হাটে প্রবেশের পথে ও বাইরে সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৫. ইজারাদাররা নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে এবং প্রয়োজনীয় স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করবে।
৬. হাটে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ একমুখী থাকবে। যে পথে প্রবেশ করা হবে, সে পথে বের হওয়া যাবে না।
৭. বৃদ্ধ ও শিশু-কিশোরদের হাটে আনা নিরুৎসাহিত করতে হবে।
৮. পশুর সুস্থতা বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য হাটে পর্যাপ্ত ভেটেরিনারি চিকিৎসক রাখতে হবে।
৯. হাটের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতে হবে।
১০. আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কোনো সমস্যা হলে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
১১. অস্থায়ী পশুর হাটে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে কিংবা শর্ত লঙ্ঘন করা হলে কর্তৃপক্ষ বাজার বসানোর অনুমতি বাতিল করতে পারবে।
১২. ইজারাদাররা পশু পরিবহনে গাড়ির পথ পরিবর্তন কিংবা নিজস্ব পশুহাটে পশু নিতে বাধ্য করবে না।
১৩. কোনোপ্রকার চাঁদা আদায় কিংবা ক্রেতা-বিক্রেতাকে হয়রানি করা যাবে না।
১৪. হাটে জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন রাখতে হবে।
১৫. ক্রেতা-বিক্রেতা সবাইকেই মাস্ক পরতে হবে।
১৬. ক্রেতা-বিক্রেতা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সারিবদ্ধভাবে অবস্থান করবে। কোরবানির পশুকেও সারিবদ্ধ ভাবে রাখতে হবে।
১৭. অস্থায়ী হাট-বাজারে জেলা প্রশাসনের মনোনীত পরিদর্শক বা কর্মকর্তাকে সহায়তা করতে হবে।