কোরবানির চাহিদা মিটবে স্থানীয় পশুতেই

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp

রিয়াদ হোসেন, আনোয়ারা প্রতিনিধি: পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে বড় ও মাঝারি ধরনের দেশীয় গরু কিনে নিজেস্ব পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করছেন আনোয়ারা উপজেলার স্থানীয় খামারিরা। গরুর ভালো দাম পাওয়ার আশা করছিলেন তারা।

তবে গোখাদ্যের চড়া দাম আর করোনা কালীন বাজার , বাইরে থেকে গরু আসলে শেষ পর্যন্ত লাভ হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় এসব খামারিরা।

এবার স্থানীয় খামারগুলোতে অতিরিক্ত গরু আছে, তাই কোরবানির জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক থেকেও বেশি পশু থাকায় স্থানীয় পশুতে চাহিদা মিটবে বলে মনে করছে খামারীরা।

চাহিদা মেঠাতে স্থানীয় পশু যথেষ্ট হলেও করোনা সংকটের কারণে প্রেক্ষাপট ভিন্নও হতেও পারে বলে ধারণা করছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তরা। তাদের মতে, গত বছর স্থানীয়রা কোরবানির পশু মোটাতাজা করণ করেছিল ২১ হাজার গবাদি পশু।

এবার উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে উপজেলায় কোরবানির চাহিদা রয়েছে ১৪হাজারের মত। তবে পশুর চাহিদা ১৪ হাজার থাকলেও এবারে কোরবানি উপলক্ষে আনোয়ারা উপজেলায় ১৫ হাজার ৮৭৬ টি পশু পস্তুত করা হয়েছে।

যার মধ্যে ষাড় হচ্ছে ৬ হাজার ১৮২টি, বলদ ৭০৭টি, গাভী ১০৯৮টি, মহিষ ৪ হাজার ৪২১টি, ছাগল হচ্ছে ২ হাজার ৫৪৯টি এবং ভেড়া ১০৯টি।

এই সমস্ত পশুর খামারীরা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সঙ্গে প্রতিনিয়ত নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করে সম্পূর্ণ বিজ্ঞানসম্মত ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে গরু মোটাতাজা করণ করতেছে।

গরু পালনে খামারিরা এবার ভালো লাভের আশা করছেন। তবে তাদের শঙ্কা শুধু বাহির থেকে গরু আসা ও রোগবালাই নিয়ে।

সর্বশেষ গতবছর কোরবানির হাটের শেষের দিকে সংকট পড়েছিলো গবাদি পশুর। তবে গতবারের চেয়ে এবার আরো কম সংখ্যক পশু মোটাতাজা করন করা হয়েছে।
যা অনেকটা কোরবানের পশুর বাজারে প্রভাব ফেলবে ধারণা করা হচ্ছে। করোনা সংকটের ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ায় তারা এবার কোরবানি নাও দিতে পারেন। যে কারণে দাম সহনীয় পর্যায় ও সংকট না হওয়ার কথাও বলছেন অনেকে।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে খামারি ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে পাওয়া গেছে তাদের প্রস্তুত ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে।

দেখা গেছে, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পশু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারি ও কৃষকারা। লাভের আশায় নাওয়া-খাওয়া ভুলে তারা পশু পরিচর্যা করছেন। দেশীয় পদ্ধতিতে ঘাস, খড়, খৈল, কুঁড়া, ভুসি, ভাঁতের মাড় ও খুদের (ভাঙা চাল) ভাঁত খাইয়ে গরু, ছাগল ও ভেড়া হৃষ্টপুষ্ট করা হচ্ছে। খামারগুলোর বেশির ভাগেরই কোরবানি উদ্দেশ্যে পশু মোটাতাজা করা। সংঙ্করায়িত ফিজিয়ান, শাহিওয়াল, সিন্ধি, হরিয়ানা ও দেশি জাতের গরু পালন করা হয় এসব খামারে।

আনোয়ারা ডেইরী ফার্মাস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হোসেন বলেন, গো খাদ্যের দাম অতিরিক্ত বেড়ে গেছে। তাই করোনা আর লকডাউনের মধ্য খামারিরা চরম বিপাকে পড়েছে। আমরা সরকারের কাছ থেকে গো খাদ্যের কমানোর জন্য জোর দাবি জানায়। গো খাদ্যের দাম এভাবে বাড়তে থাকলে পশু মোটাতাজা করনে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়তে হবে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমরা বছরের শুরু থেকে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছি। ইতিমধ্যে স্থানীয়ভাবে যা মোটাতাজা করন করা হয়েছে তা স্থানীয় চাহিদা মেঠাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, রোগবালাই থেকে গবাদিপশু মুক্ত রাখতে আমারা রীতিমত খামার ভিজিট করছি। এবং খামারিদের নীয়মিত পরামর্শ ও বিভিন্ন প্রাথমিক চিকিৎসার কার্যক্রম চলমান রেখেছি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

Welcome Back!

Login to your account below

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.