চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৭টি শর্তে নগরীতে তিনটি অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর অনুমোদন দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এছাড়া নগরীতে সিটি করপোরেশনের আরও তিনটি স্থায়ী হাটেও কোরবানির পশু কেনাবেচা হবে। অর্থাৎ পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নগরীতে মোট ছয়টি পশুর হাট বসবে।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) জেলা প্রশাসন তিনটি হাট বসানোর অনুমোদন দিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সাতটি অস্থায়ী হাট বসানোর জন্য আবেদন করা হয়েছিল। জেলা প্রশাসন থেকে ১৭টি শর্ত দিয়ে তিনটি অস্থায়ী হাট বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আগামী ১২ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত হাট বসবে। অস্থায়ী হাটের পাশাপাশি তিনটি স্থায়ী পশুর হাটেও ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশু কেনাবেচা চলবে।
তিনি আরও বলেন, অস্থায়ী হাটগুলো ইজারা দেওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। ইজারার প্রক্রিয়া দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে।
সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, কর্ণফুলী পশুর হাট (নূর নগর হাউজিং মাঠ), সল্টগোলা রেলক্রসিং হাট এবং পতেঙ্গার বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণের খালি মাঠে অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্থায়ী হাটগুলো হচ্ছে : সাগরিকা পশুর হাট, বিবির পশুর হাট ও পোস্তারপাড় হাট।
উল্লেখ্য, গত বছর চারটি অস্থায়ী, তিনটি স্থায়ীসহ মোট সাতটি হাট বসেছিল চট্টগ্রাম নগরীতে।
মানতে হবে ১৭ শর্ত:
অস্থায়ী পশুর হাটে ১৭টি শর্ত মানতে হবে ইজারাদারকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো : অস্থায়ী পশুর হাট প্রধান সড়ক থেকে অন্তত ১০০ গজ দূরে বসাতে হবে। কোনো অবস্থাতেই যাতে সড়কে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি না হয়। পশুর হাটের বাইরে কোনো পশু রাখা যাবে না। ক্রেতা-বিক্রেতা সবাইকে মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
এছাড়াও করোনা সংক্রমণ ও বিস্তার প্রতিরোধে পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সাবান–পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে। অস্থায়ী পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার একমুখী চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে। অর্থাৎ প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ পৃথক থাকতে হবে। পশুর হাটের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। জাল নোট শনাক্তকরণের যন্ত্র রাখতে হবে।