চলছে তেলে ভাজা মুখরোচক খাবার তৈরির কাজ।বাঙালি যে ভোজনরসিক তার প্রমাণ পাওয়া যায় পথে ঘাটে খাবারের দোকানগুলোর দিকে তাকালেই। নগরীর প্রায় প্রতিটি মোড়ে মোড়েই স্ট্রিট ফুড্রর পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানীরা। তবে এই খাবারগুলো কতোটা নিরাপদ কিংবা স্বাস্থ্যসম্মত তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। কিন্তু হাতের নাগালে সব ধরণের খাবার এই দোকান গুলোতে পাওয়া যায় বলে ভোজনরসিকদের শীর্ষে থাকে স্ট্রিট ফুড।
ভোজনরসিকদের কাছে এসব খাবার মুখরোচক হলেও এর পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্যকর দিক নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। বিশেষত সড়কের পাশে উন্মুক্ত স্থানে তৈরি এসব খাবার আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারী তা বলা কঠিন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, মুখরোচক খাবার বেশিরভাগই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এসব খাবার প্রস্তুতের পদ্ধতিই এর ক্ষতিকর দিকের কারণ।
এসব খাবারে থাকা অতিরিক্ত চিনি, চর্বি এবং লবণ শরীরে ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, এবং ক্যান্সারের মতো জটিল রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়াও এসব খাবারে উচ্চমাত্রার ট্রান্স ফ্যাট এবং কৃত্রিম প্রিজারভেটিভ থাকে, যা ধমনীতে ব্লক সৃষ্টি করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এ ধরনের খাবারে থাকা কেমিক্যাল যেমন টারট্রাজিন, সানসেট ইয়েলো বা কারমোসিন শিশুদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট এবং অস্থিরতার মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে।”
শরীরের জন্য ক্ষতিকর জেনেও কেন এমন খাবার গ্রহণ করছেন জানতে চাইলে অনেকেই বলেন, ‘ফুটপাথের খাবার একদিকে যেমন সাশ্রয়ী তেমনি মিলছে হাতের নাগালে। ফলে প্রয়োজন হলেই পাওয়া যাচ্ছে যেকোনো সময়।
আমাদের দেশের বেশির ভাগ স্ট্রিট ফুডই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রস্তুত ও পরিবেশিত হচ্ছে। অনিরাপদ পানি, পচা তেল, অপরিষ্কার প্লেট, নোংরা গামছা অর্থাৎ খাদ্য তৈরি থেকে পরিবেশন—কোথাও পরিচ্ছন্ন-স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ের বালাই নেই। এখানেই যেন নিরাপদ খাদ্যের বিষয়টি উপেক্ষিত।