শুভ বড়দিন এবং থার্টিফার্স্ট নাইটে যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে পুলিশ। আসন্ন এই দুই উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তরে সভা শেষে জানানো হয়, বড়দিন এবং থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। কৌশলগত স্থানে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ক্রাইম সিন ভ্যান, কুইক রেসপন্স টিম, সোয়াট টিম ইত্যাদি মোতায়েন থাকবে।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বড়দিন এবং থার্টিফার্স্ট নাইটে পটকা, আতশবাজিসহ ফানুস ওড়ানো যাবে না। এই উপলক্ষ দুটি কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট, মন্তব্য বা ছবি আপলোড করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গুজব প্রতিরোধে সাইবার মনিটরিং ও সাইবার পেট্রোলিং জোরদার করা হবে।
গির্জার নিরাপত্তায় নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, পর্যাপ্ত আলো, স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর বা চার্জার লাইটের ব্যবস্থা রাখতে আয়োজকদের অনুরোধ জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর জানান, থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কক্সবাজার, কুয়াকাটাসহ দেশের পর্যটন এলাকাগুলোয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। কেউ উচ্চস্বরে হর্ন বাজালে ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি বা মোটরবাইক চালালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সভাপতির বক্তব্যে অতিরিক্ত আইজি (প্রশাসন) আলমগীর আলম বলেন, বড়দিন এবং থার্টিফার্স্ট নাইট নিরাপদে, নির্বিঘ্নে উদযাপনের লক্ষ্যে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। দিন দুটি নিরাপদে পালিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সভায় অতিরিক্ত আইজি (প্রশাসন) আলমগীর আলমের সভাপতিত্বে ছিলেন অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) আকরাম হোসেন, স্পেশালে ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম, সেন্ট ম্যারিস ক্যাথিড্রাল চার্চের পাল পুরোহিত ফাদার আলবার্ট রোজারিও, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, যুগ্ম মহাসচিব জেমস সুব্রত হাজরা প্রমুখ। পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপাররা অনলাইনে সভায় সংযুক্ত ছিলেন।