ষাটোর্ধ বয়সি ফারুক সিকদার। বাড়ি বরিশালে হলেও বর্তমানে তিনি থাকেন নগরীর আগ্রাবাদ রঙ্গি পাড়া এলাকায়। পরিবারে আছেন তার স্ত্রীসহ দুই ছেলে। সংসার ও ছেলেমেয়ের ভরণপোষণের খরচ যোগান দিতে তিনি নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় পায়ে হেটে হেটে দিনের পর দিন
এভাবেই জীবন সংগ্রামে এগিয়ে চলছেন ফারুক সিকদার।
হার না মানা জীবন যুদ্ধে এগিয়ে চলা ফারুক সিকদার পরিবার কিংবা সমাজের কাছে বোঝা হিসেবে না থেকে অপারেশন করা পা আর কাঁধে পান সিগেরেটের বাক্স নিয়েই দিনের পর দিন এভাবে এগিয়ে চলছেন তিনি। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে জীবনের বোঁঝা কাধে নিয়ে এভাবেই বয়ে চলছেন যান্ত্রিকতার এই শহরে।
গল্পটি সংগ্রামী এক বাবার। একদিকে অপারেশন করা পা এবং গলায় বাক্স নিয়ে পান সিগেরেট বিক্রি করাই তার নিত্যদিনের কাজ। ঝড় বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে প্রতিদিন এভাবে জীবনের বোঝাটা কাঁধে নিয়ে বইছেন। একদিকে যেমন ব্যাবসা অন্যদিকে পরিবারের চিন্তায় দিনরাত এক করে ফেলছেন ফারুক সিকদার।
চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ এরিয়ায় হেটে হেটে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পান সিগেরেট বিক্রি করে যা টাকা পান তা দিয়েই পরিবারের মুখে হাসি ফুটান ফারুক সিকদার। তবে দিনে দেড় থেকে দুই হাজার টাকার পান সিগেরেট বিক্রি করতে পারলেও তার আয় হয় মাত্র তিনশো থেকে চারশো টাকা। এই টাকা দিয়েই চলছে ফারুক সিকদারের পরিবার।
আমরা অনেক সময় অনেক ছোট খাটো বিষয় নিয়ে অভিযোগ করে থাকি এমনকি আমাদের জীবনের প্রতিও রয়েছে অনেক অভিযোগ। অথচ যারা সমাজে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে বেঁচে আছেন তাদের দিকে একবার তাকিয়ে দেখুন আপনার প্রতি আপনার সকল অভিযোগ নিমিষেই ধুলোয় মিশে যাবে।