এক গবেষণায় দেখা গেছে বাংলাদেশের ৪০ শতাংশ মানুষ নিয়মিত চলাচলের ক্ষেত্রে রিকশার ওপর নির্ভরশীল। তবে শুরুর দিকে কোন রিকশাই তিন চাকার ছিল না। সেগুলো মূলত দুই চাকায় ভর করে চলতো এবং সামনে ছিল লম্বা হাতল। তবে প্রথম থেকেই বাংলাদশে প্যাডেল চালিত রিক্সার প্রচলণ ছিলো বেশি।
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো রিকশা এসেছিল ঠিক ১০০ বছর আগে, ১৯১৯ সালে। সে সময়ের প্রেক্ষাপটে রিকশা নামে আজব এই যানটির সঙ্গে বাংলাদেশে সবার আগে পরিচয় ঘটেছিল চট্টগ্রামের মানুষের।
কথিত আছে সে বছর মিয়ানমারের রেঙ্গুন থেকে আনা হয়েছিল প্রথম রিকশাটি এরপর রিকশা আসে ঢাকায়। তবে ঢাকার রিকশা এসেছিল ভারতের কলকাতা থেকে ১৯৩০ এর দশকে।
এ কারণে দুই রিকশার কাঠামোগত বৈশিষ্ট্য ছিল আলাদা।
১৯৩৮ সালের দিকে মাল আনা-নেওয়ার কাজে পাট ব্যবসায়ীরা নেত্রকোনা এবং নারায়ণগঞ্জে রিকশার প্রচলন করেছিল।শুরুর দিকে, মাল আনা-নেওয়ার কাজেই মূলত রিকশা ব্যবহার করা হতো। মানুষ সে সময় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার গাড়ি, পালকি এবং শহরের খালে নৌকা ব্যবহার করে যাতায়াত করত। তাই মানুষ পরিবহনে প্রথম দিকে ততটা জনপ্রিয় ছিল না রিকশা।
যদিও নতুন এই বাহনটিকে ঘিরে ঢাকার অধিবাসীদের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল জেগে উঠেছিল। এরপর ১৯৩০ এর দশকের মাঝামাঝি সেই রিকশা বাংলাদেশে আসে এবং ১৯৩৭ সালে আসে ঢাকায়। বাংলাদেশে শুরু থেকে এই সাইকেল রিকশার প্রচলন ঘটে, মানুষের হাতে টানা রিকশা নয়।
প্রথম রিকশার মালিক ছিলেন যদু গোপাল দত্ত। প্রথম রিকশা চালকের নাম নরেশ বলে মোমিনুল হকের আত্মজীবনীতে উল্লেখ রয়েছে।এরপর যদু গোপাল দত্তের প্রতিবেশী শিশির মিত্র ৪টি রিকশা আমদানি করেন। সেই থেকেই অল্প অল্প করে রিকশা আমদানি শুরু হয়। হাতে টানা কিছু রিকশাও আমদানি করা হয়েছিল কিন্তু তাতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হওয়ায় পৌরসভা তা বন্ধ করে দেয়।