চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার অন্তর্ভুক্ত, ২০ নং দেওয়ানবাজার ওয়ার্ডের আওতাধীন একটি স্বনামধন্য এলাকার প্রচলিত নাম “খলিফাপট্টি”! এলাকাটি ফতেহ আলী মাতবর লেইন, এবং আবদুস সাত্তার বাইলেইন, এই দুই ভাগে বিভক্ত। আন্দরকিল্লা থেকে চকবাজার অভিমুখী সুপ্রসিদ্ধ নবাব সিরাজউদ্দৌলা রোডে যাওয়ার সময় সাব-এরিয়া নামক জায়গায় হাতের ডানে নিচু সড়কটি দিয়ে এখানে যাওয়া যায়। এলাকাটিতে শুধু প্রবেশের রাস্তা আছে, বের হয়ে অন্য এলাকায় যাওয়া যায় না। চাক্তাই খাল এর শেষ সীমা। খালের অপর পাশে মাস্টারপুল নামক এলাকা। খলিফাপট্টির প্রতিবেশী এলাকা ঘাটফরহাদবেগ।
এই এলাকায় দীর্ঘকাল ধরে (আনুমানিক ৭০ বছর) নোয়াখালী অঞ্চল থেকে আগত পরিশ্রমী দর্জি ভাইয়েরা দর্জিপল্লী বিনির্মাণ করে নিজেদের জীবিকা ও ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। তাদের কেউ কেউ এখানে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা সম্প্রসারিত করে নগরীর টেরিবাজার এবং রেয়াজুদ্দিন বাজারেও ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। দর্জির আঞ্চলিক সমার্থক শব্দ “খলিফা” থেকেই এই এলাকার এরকম নামকরণ।
চট্টগ্রামের স্থানীয় ভাষায় দর্জিকে খলিফা বলা হয়। দর্জি বা খলিফাদের নামানুসারেই এ এলাকার নাম বা খ্যাতি-খলিফাপট্টি। জানা যায়, ১৯৫০ এর দশকে নোয়াখালী বেগমগঞ্জের ফেরিওয়ালা আইয়ুব আলীর হাত ধরেই গড়ে উঠে এ খলিফাপট্টি। এখানে রয়েছে ৪২০টিরও বেশি দোকান
৪৭ সালে দেশভাগের পর আইয়ুব আলী সওদাগর নামে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের এক দর্জি নগরীর এই এলাকায় প্রথম ব্যবসা শুরু করেন। এরপর ধীরে ধীরে ব্যবসা প্রসারিত হয়ে এলাকাটি পরিচিত হয় খলিফাপট্টি নামে। মূলত দর্জিদের খলিফা নামে ডাকা হয় বলেই এ নামকরণ করা হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা