প্রচন্ড ঝড় কিংবা প্রখর রোদের মধ্যেই প্রায় ৪৩ বছর ধরে সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে কাঁচা বাঁশের তৈরি একটি ঘর। সাদামাটা দৃষ্টিতে দেখতে সাধারণ মনে হলেও এই ঘরটি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে অসাধারণ উদ্ভাবনী দক্ষতা। আর সাথে ছিল বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট গবেষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর বিরতিহীন প্রচেষ্টা।
কপার সালফেট, সোডিয়াম অক্সাইড, বরিক এসিড এসব রাসায়নিক দ্রব্য প্রয়োগে বাঁশ ও কাঠের ব্যবহারিক আয়ুষ্কাল বাড়ে, এমন প্রস্তাবনাকে প্রমাণিত করতেই পরীক্ষামূলকভাবে বাঁশের তৈরি টেকসই ঘরটি নির্মাণ করে চট্টগ্রাম বন গবেষণা ইনষ্টিটিউট। বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিনিয়র রিসার্চ অফিসার আবদুস সালাম জানান, এ দেশের আবহাওয়া বাঁশ চাষের জন্য খুবই উপযোগী।
বাঁশের সহজলভ্যতাকে কাজে লাগিয়ে, কাঠের বিকল্প বাঁশ ব্যবহার বৃদ্ধি করে বন রক্ষা, জাতীয় আয় বাড়ানো ও বনজ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই প্রযুক্তির সাহায্যে বাঁশের বহুমাত্রিক ব্যবহার উদ্ভাবন করে চলেছে চট্টগ্রাম বন গবেষণা ইনস্টিটিউট। প্রযুক্তির বিশেষ উৎকর্ষতায় তৈরি করা হয়েছে বাশের টেকসই এ ঘরটি।