এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে, তার ওপর ভিত্তি করেই বিটকয়েনের রমরমা অবস্থার তৈরি হয়েছে। একইসাথে আর্থিক বাজারের প্রত্যাশা, ট্রাম্প প্রশাসন ক্রিপ্টো–বান্ধব হবে।
এক দশক আগে বিটকয়েন ভর্তি একটি হার্ড ড্রাইভ ময়লার ভাগাড়ে ফেলে দিয়েছিলেন এক ব্রিটিশ নাগরিক। পরবর্তীতে আজ পর্যন্ত সে দিশেহারা হয়ে ঐ হার্ড ড্রাইভ খুঁজে বেড়াচ্ছেন। খবর বিবিসির।
জেমস হওয়েলের ঐ হার্ড ড্রাইভে ছিল ৮ হাজার বিটকয়েন। যে সময়ে এটি হারিয়ে যায় তখন এর মূল্য ছিল ৪ মিলিয়ন ডলার। তবে বর্তমানে ভার্চুয়াল মুদ্রাটির দাম বেড়ে ৫৬৮ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
জেমস মূলত ভার্চুয়াল মুদ্রার বাজারে আসার প্রথম দিকে বিটকয়েনগুলো কিনেছিলেন। সেক্ষেত্রে কয়েনে এক্সেসের জন্য প্রাইভেট কোড তিনি ঐ হারিয়ে যাওয়া ড্রাইভটিতে সংরক্ষণ করেছিলেন। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে তিনি ভুলবশত ড্রাইভটি ফেলে দেন।
এরপর জেমস হার্ড ড্রাইভটি খোঁজার জন্য খনন কার্যের অনুমতি নিতে নিউপোর্ট সিটি কাউন্সিল বরাবর আবেদন করেছিলেন। এর বদলে তিনি প্রশাসনকে তার জমানো বিটকয়েনের মূল্যের এক-চতুর্থাংশ দেওয়ার প্রস্তাব করেন। তবে নগর প্রশাসন তার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে তার সাথে আলোচনায় বসতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছিল।
সাতোশি নাকামোতো নামে পরিচিত এক অজ্ঞাত পরিচয়ের কম্পিউটার প্রোগ্রামার ২০০৯ সালে বিটকয়েনের প্রবর্তন করেন। এর আগে নিউপোর্ট সিটি কাউন্সিলের একজন মুখপাত্র ২০২১ সালে জানিয়েছিল যে, জেমসের পক্ষ থেকে ২০১৩ সাল থেকে বেশ কয়েকবার ময়লার ভাগাড় থেকে বিটকয়েন সম্বলিত হার্ডওয়্যার খুঁজে বের করার ব্যাপারে তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে তাদেরও অত্র এলাকা খননের অনুমতি নেই বলে জানান তিনি।
এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে, তার ওপর ভিত্তি করেই বিটকয়েনের রমরমা অবস্থার তৈরি হয়েছে। একইসাথে আর্থিক বাজারের প্রত্যাশা, ট্রাম্প প্রশাসন ক্রিপ্টো–বান্ধব হবে।
সিডনির এটিএফএক্স গ্লোবালের প্রধান বাজার বিশ্লেষক নিক টুইডেল বলেন, “পরিষ্কারভাবেই এটা ট্রাম্পের জন্য হচ্ছে। কারণ তিনি এই শিল্পের খুবই সমর্থনকারী। এর মানে হলো ক্রিপ্টোর মজুত ও মুদ্রা উভয়ের চাহিদা আরও বাড়বে। নির্বাচনের ফল আসার পর বিটকয়েনের দাম প্রায় রেকর্ড পর্যায়ে ওঠার মানে হলো, এই মুদ্রার ওপরে কেবল খোলা আকাশ রয়েছে।”
প্রচারণা চালানোর সময় ট্রাম্প ডিজিটাল সম্পদ গ্রহণ করেছেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে তিনি ‘এই গ্রহের ক্রিপ্টো রাজধানী’ বানাবেন এবং বিটকয়েনের একটি জাতীয় মজুত গড়ে তুলবেন।
এটা এখনো পরিষ্কার নয় যে ঠিক কবে ও কীভাবে বিষয়টি ঘটবে। তবে এই সম্ভাবনা ক্রিপ্টোর মাইনিং কর্মকাণ্ড জোরালো করেছে এবং এ–সংক্রান্ত