মাত্র একটি শব্দের জন্যও যে দিবস হতে পারে তা কি আপনার জানা আছে! সে শব্দটি হলো আমাদের বহুল পরিচিত ‘হ্যালো’। ফোনে কিংবা সরাসরি যোগাযোগের ক্ষেত্রে ‘হ্যালো’ সম্ভাষণ জানিয়েই সাধারণত আমরা কথোপকথন শুরু করি।
প্রতিবছরের ২১ নভেম্বর এই শব্দটির জন্য পালন করা হয় বিশ্ব হ্যালো দিবস। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ১৮০টি দেশে এই দিনটি উদযাপন করা হয়।
আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে, এমন দিবসের কীই-বা গুরুত্ব থাকতে পারে! প্রকৃতপক্ষে মানুষে মানুষে যোগাযোগ স্থাপনের মধ্য দিয়ে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন থেকে এসেছে এই দিবসের ধারণা। সহিংসতা নয়, যোগাযোগ রাখাটাই হলো গুরুত্বপূর্ণ; দ্বন্দ্ব বা বিরোধ সমাধানে যোগাযোগই যে একমাত্র উপায় তা মনে করিয়ে দেয় বিশ্ব হ্যালো দিবস।
ডেজ অব দ্য ইয়ারের তথ্যমতে, ১৯৭৩ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্ব হ্যালো দিবস পালন করা হয়। ইসরায়েল এবং মিশরের দীর্ঘস্থায়ী দ্বন্দ্বের সঙ্গে জড়িত এই দিবসের আখ্যান। সে বছরের ৬ অক্টোবর শেষ হয় ইওম কিপুর যুদ্ধ। যুদ্ধ শেষে শান্তি আলোচনায় মিলিত হন আরব ও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা।
অ্যারিজোনা স্টেস ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক ব্রায়ান ম্যাককরমেক এবং হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির গ্র্যাজুয়েট মাইকেল ম্যাককরমেক বিশ্ব হ্যালো দিবসের ধারণাটি পরে প্রকাশ্যে আনেন।
বিশ্ব হ্যালো দিবসের মধ্যে নিহিত রয়েছে ব্যক্তিগত জীবনে যোগাযোগের তাৎপর্য। সংকোচ, অহংকার কিংবা আত্মগরিমা ছেড়ে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে উৎসাহ প্রদান করে এই দিনটি।
দিবসটি উদযাপনের জন্য আপনার প্রিয় মানুষগুলোর সঙ্গে আজ যোগাযোগ করতে পারেন। ‘হ্যালো’ বলে তাদের জানিয়ে দিন যে, তাঁরা আপনার জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এতে আপনাদের সম্পর্ক মজবুত হবে।
যাদের সঙ্গে অনেকদিন কোনো যোগাযোগ করা হয় না, বা ইচ্ছা হলেও যাদের সঙ্গে কখনো কথা বলা হয়নি, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরুর জন্যও আজ বেশ ভালো সুযোগ রয়েছে কিন্তু!