আজব এক জংশন ষোলশহর

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp

কিছু লোক উদাস ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছেন রেললাইনের পাশে। তাদের মাথার উপরে মরিচাধরা জরাজীর্ণ শেড। মনে হচ্ছিলো, তপ্তরোদ থেকে বাঁচতেই সেডের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন তারা। কিন্তু একটু পর (বেলা ১২ টায়) হুইসেল দিয়ে এগিয়ে এলো একটি কক্সবাজারগামী ট্রেন। বলছিলাম ষোলশহর জংশনের কথা। কয়েক বছর পরেই শতবর্ষী হতে যাচ্ছে এই জংশনটি। অথচ এখোনো আধুনিকায়নের ছোঁয়া পায়নি।

আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে কম্পানি চট্টগ্রাম-ষোলশহর লাইন ১৯২৯ সালে, ষোলশহর-নাজিরহাট লাইন ১৯৩০ সালে, ষোলশহর- দোহাজারী লাইন ১৯৩১ সালের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করে। ষোলশহর থেকে দোহাজারী রেললাইন তৈরি হলে ষোলশহর জংশন স্টেশনে পরিণত হয়। ষোলশহর জংশন রেলওয়ে স্টেশন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম জেলার পাঁচলাইশ থানায় অবস্থিত একটি রেলওয়ে স্টেশন।

এই স্টেশনটিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেনসহ ৩০টি ট্রেনে প্রতিদিন যাত্রী উঠানামা করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী ছাত্র-ছাত্রীদের বেশিরভাগ এই স্টেশনটি ব্যবহার করে আসা যাওয়া করেন। কিন্তু নেই যাত্রীদের বসার স্থান। পাবলিক টয়লেট না থাকায়ও যাত্রীদের বেকায়দায় পড়তে হয়। স্টেশনের এক পাশে ময়লার স্তুপ জমে আছে। যা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরী করছে চারদিকে।

তিনটি রেললাইন রয়েছে। চেহারা দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই যে, এ রুট দিয়ে নিয়মিত ট্রেন যাতায়াত করে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রেল লাইন চালু হওয়ার আগেই স্টেশনটি আধুনিকায়ন হবে বলে জানালেও এখোনো এই রেললাইনটি আধুনিকায়নের ছোঁয়া পায়নি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

Welcome Back!

Login to your account below

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.