রাউজান উপজেলা সদর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরত্বে পশ্চিম ডাবুয়ার গণিপাড়া গ্রামটি। কিছুটা ইটের সলিং আবার কিছুটা কাঁচা আঁকা-বাঁকা সড়ক দিয়ে যেতে হয় সেই এক সময়ের চলচ্চিত্র কাঁপানো নায়িকা শাবানার গ্রামের বাড়ী। রাস্তার দু’ধারে সবুজ প্রকৃতি আর ফসলি জমি। দেখে যেন মন জুড়িয়ে যায়।
ইট ও টিনের ছাদের লম্বা একটি ৫০ বছর আগের ঘর। অনেক পুরানো বলে দেওয়ালের আস্তরে ঝং ধরেছে। হারিয়েছে স্বাভাবিক সৌন্দর্য্য।ে কিন্তু একসময় সেই ঘরে বাপ-চাচাদের কোলে পিঠে করে বেড়ে উঠেছিলেন বাংলা চলচ্চিত্র জগতের এক সময়ের সাড়া জাগানো নায়িকা শাবানা। শুধু শিশুকাল নয়, শৈশবে তার স্কুল ও খেলাধূলা, সাংস্কৃতিক জগতের পারদর্শিতার প্রমাণ রাখা কিংবা উচ্ছ্বলতায় ভরা ছিল তার এই গ্রামটি।
কিন্তু যে বাড়িটি নিয়ে সাধারন ‘সিনেমাপ্রিয়’ মানুষের মধ্যে এত কৌতূহল, সেই বাড়িতে শাবানার পায়ের ছাপ পড়েনি দীর্ঘ সময় থেকে । চর্তুদিকে সুপারি, নারিকেলসহ নানা গাছের ছায়ায় ঢাকা ‘নিঝুম’ বাড়িটি দেখলেই মনে হয় যেন শাবানার অভাব অনুভূত হচ্ছে বাড়িটিতে। তবে শাবানা দীর্ঘদিন না আসলেও তিনি বাড়ির খোঁজ-খবর রাখেন। দীর্ঘকাল শাবানার আগমন না ঘটায় উৎসুক গ্রামের অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেছেন।
১৬ বছর বয়সে প্রথম ছবি চকোরী দিয়ে শুরু হয় শাবানার ‘ঢালিউট’ মাতানো। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক জনপ্রিয়তা পেয়ে তিনি হয়ে উঠেন এক সময়ের জন্যে বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রধান নায়িকা। পান রাষ্ট্রীয়সহ বিভিন্ন নামীদামী পুরস্কার। দীর্ঘদিন চলচ্চিত্র জগতে নিজের শীর্ষস্থান ধরে রাখা শাবানা ১৬/১৭ বছর আগে ‘মাটির ঠিকানা’ নামের শেষ ছবি দিয়ে চলচ্চিত্র জগতের ইতি টানেন।