চট্টগ্রামের ইতিহাস এবং ঐতিহ্য প্রাচীন মসজিদ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp

ঐতিহ্যবাহী মসজিদটি প্রাচীন স্থাপত্যশিল্পের পাশাপাশি ধরে রেখেছে চট্টগ্রামের ইতিহাস ঐতিহ্য। দৃশ্য এই স্থাপনাটি দাঁড়িয়ে আছে আটটি পিলারের ওপর। মসজিদের রয়েছে একটি সুউচ্চ মিনার, তিনটি দরজা, দুটি জানালা। বিভিন্ন সময়ে এক গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদটি সংস্কার করা হলেও মূল নকশায় কোনো পরিবর্তন আসেনি। তবে বাইরের দেয়ালে কিছু কারুকাজ ছিল, যা খসে পড়ায় সেখানে স্থান নিয়েছে আধুনিক টাইলসের আবরণ।

অনেকেই মসজিদটিকে রাউজানের প্রথম মসজিদ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এলাকাবাসীর দাবি মসজিদটি নির্মিত হয়েছে ৮০০ বছর আগে। তবে কাগজে-কলমে মসজিদটি মোগল আমলের স্থাপত্য। জানা যায়, তৎকালীন জমিদার আমির মোহাম্মদ চৌধুরীর স্বনামধন্য স্ত্রী এবং চট্টগ্রামের প্রসিদ্ধ মালকা বানুর মা ‘সাহেব বিবি’ বিদেশি শ্রমিক দিয়ে ৫০০ বছর আগে ডিমের আঠা ও চুন-সুরকির গাঁথুনিতে মসজিদটি নির্মাণ করান। প্রতিষ্ঠার সময় আনুমানিক ১৬১২ খ্রিষ্টাব্দ।

দৃষ্টিনন্দন মসজিদটির পাশে ও সম্মুখভাগে রয়েছে মাথা নিচু করে প্রবেশের জন্য চার ফুট উচ্চতার দুটি তোরণ। পাশের কবরস্থানসহ মসজিদটি নির্মিত হয়েছে ৩০ শতক জমির ওপর। একটি ঈদগাহ রয়েছে মসজিদের সামনে। একসঙ্গে শতাধিক মানুষ নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদ নির্মাণের সময়ে মুসল্লিদের অজুসহ পানির চাহিদা মেটাতে মসজিদের উত্তর পাশে খনন করা হয় বিশাল দিঘি, যা সাহেব বিবির দিঘি নামে পরিচিত।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা এখানে আসেন, নামাজ আদায় করেন। মুগ্ধ হন মসজিদের স্থাপত্যকলা দেখে। মসজিদের চারপাশে গাছে গাছে শোভা পাওয়া নানা রঙের ফুলগুলো আজও যেকোনো মানুষের নজর কাড়বে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

Welcome Back!

Login to your account below

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.