অপূর্ব সৌন্দর্যের স্থান চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর চৌচালা বীচ। শহরের খুব কাছেই রয়েছে এই অনিন্দ সুন্দর বীচ। শ্বাসমূল, কাদামাটি, নোনাজল আর সবুজ ঘাসের বিছানা। সামনে সুবিশাল বঙ্গোপসাগর।এর চেয়ে মনোরম পরিবেশ আর কোথায় পাবেন সৌন্দর্যপিপাসুরা! এমন অপরূপ প্রাকৃতিক পরিবেশ চট্টগ্রামের হালিশহর চৌচালা বীচ।
এই সাগর পাড়ে বিকেলের সময় টা প্রিয় জন বা পরিবার কে নিয়ে, কংক্রিটের পাথরে বসে সাগরের প্রশান্তিময় বাতাস, বাদাম চিবাতে চিবাতে বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা সময় টা অন্যরকম এক অনুভূতি জাগবে আপনার মধ্যে। এছাড়াও বীচের এক পাশে রয়েছে সুবিশাল মাঠ। যেখানে প্রতিদিন বিকেল বেলায় বিভিন্ন বয়সের তরুনরা ক্রিকেট,ফুটবল খেলায় মগ্ন থাকেন। স্মৃতিময় হয়ে থাকবে চৌচালা বীচে কাটানো সময়গুলো।
বে-টার্মিনাল আর আউটার রিংরোড প্রকল্প হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শানার্থী বিশেষ করে শুক্রবার সহ যেকোন বন্ধের দিনে উপচে পড়া ভিড় দেখা যাই। এই সম্ভাবনা কে সঠিক কাজে লাগিয়ে দক্ষিণ-মধ্যম হালিশহর এলাকাকে বিশেষ পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তোলতে পারলে বদলে যাবে অসহায়দের কষ্টের জীবন আর শাররিক সুস্থ্যতায় প্রকৃতির রূপকে ভালোভাবে উপভোগ্য করবে এই অঞ্চলের জনগণ।
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে আসার পূর্বে দেখবেন সূর্য বঙ্গপসাগরের বিশাল জলরাশির মাঝে হারিয়ে যেতে চলেছে। তখন সূর্যের রক্তিম আভায় পুরো সমুদ্র সৈকতের রঙ সোনালী রূপ ধারণ করে। সে এক রোমাঞ্চকর সৌন্দর্য্য
যেভাবে যাবেন আপনি এই সাগর পাড়ে,
হালিশহর বড়পোলল থেকে টমটমে কিংবা অটোরিকশা জোগে করে আপনি এই অনিন্দ্য সুন্দর সাগর পাড়ে যেতে পারবেন। হালিশহর বড়পোল এসে অটোরিকশা কিংবা টমটম ড্রাইভার কে বলে চৌচালা সাগর পার যাবেন। টমটমে জনপ্রতি ১০ টাকা নিবে আর অটোরিকশা রিজার্ভ ৫০ ভাড়া নিবে।