সামান্য সময় বাঁচাতে নয়তো একটু পরিশ্রম থেকে পরিত্রাণ পেতে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই রাস্তা পারাপার হচ্ছেন পথচারীরা। চরম ঝুঁকিপূর্ণ জানার পরও ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে বেশিরভাগ পথচারীরই চরম অনীহা।মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক দৌড়ে পার হতে রাজি। তবুও সিঁড়ি বেয়ে নিরাপদে ওভারব্রিজ ব্যবহার করে পার হতে রাজি নন পথচারীরা!।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কর্ণেলহাটের ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে আগ্রহ নেই পথচারিদের। প্রতিনিয়ত ব্যস্ততম মহাসড়ক দিয়ে পথচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করে, ঝুঁকিপূর্ণভাবে রাস্তার আইল্যান্ড টপকে, সুযোগ বুঝে দ্রুত গতির যানবাহনের সামনে দিয়েই দৌড়ে পারাপার হচ্ছেন পথচারীরা। অনেকেই আবার হাতের ইশারা গাড়ি থামিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রতিদিন হাজারো গাড়ী প্রায় একশ’ কিলোমিটার বেগে চলাচল করে। আর এরইমধ্যে চলন্ত গাড়ি থামিয়ে দলবেঁধে অথবা ফাঁক-ফোকর বুঝে সড়কের মাঝপথ দিয়ে মহাসড়ক পার হচ্ছেন পথচারীরা। রাস্তা পারাপারে এই বাড়তি সময় ব্যয় করাটাই হয়ত অনীহার কারণ পথচারীদের। ফুটওভার ব্রিজ পার হয়ে রাস্তার ওপারে যাওয়ার চেয়ে ঝুঁকি নিয়ে পার হতে স্বাচ্ছন্দবোধ করে সবাই। অথচ একটু হেঁটে ওভার ব্রিজ হয়ে ঝুঁকি ছাড়াই রাস্তা পার হওয়া যায়।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, এদিকে রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে কর্ণেলহাটের এই মোড়ে প্রতিনিয়ত কোথাও না কোথাও দুর্ঘটার শিকার হচ্ছে পথচারীরা। কেউ হচ্ছে পঙ্গু, আবারও কেউ হারাচ্ছে হাত-পা। কেউ আবারও মারা যায়। সচেতনতার অভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিনই রাস্তা পারাপার হচ্ছে পথচারীরা। ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে জনসচেতনতা উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন পথচারীরা।