চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের সুন্দর মসজিদ গুলোর মধ্যে অন্যতম কাতালগঞ্জ জামে মসজিদটি। চট্টগ্রাম শহরে পাঁচলাইশ মোড় থেকে মুরাদপুর যাওয়ার পথে পাচলাইশ ও মির্জার পুল এর মাঝামাঝি এটির অবস্থান। আধুনিক স্থাপত্য শৈলীর সুন্দর নিদর্শন বহন করে এই মসজিদটি।
বারো আউলিয়ার অন্যতম হযরত কাতালপীর শাহ (রহ.) প্রায় ৭০০ বছর পূর্বে পারস্য হতে এদেশে ইসলাম প্রচারের জন্য আগমন করেন। চট্টগ্রামের, পাঁচলাইশ থানার কাতালগঞ্জ নামক যে স্থানে তাঁর দরগাহ শরীফ অবস্থিত এটির নাম হযরত কাতালপীর শাহ (রহ.)’র নামানুসারেই প্রসিদ্ধ লাভ করে। তাঁর মাজার শরীফকে কেন্দ্র করে পাশে গড়ে উঠে একটি মসজিদ যা কাতালগঞ্জ বড় মসজিদ নামে পরিচিত।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিষ্ঠার প্রথম এ মসজিদটি সাদামাটা করে তৈরি করা হলেও, পরবর্তীতে মসজিদটিকে ভেঙে পুনরায় সুন্দর করে নির্মাণ করা হয়। মসজিদটি নির্মাণ অনেক মূল্যবান এবং দামি সামগ্রী ব্যবহার করা হয়। মার্বেল পাথর তার মধ্যে অন্যতম। মসজিদটি নিচতলা এবং দ্বিতীয় তলা সম্পূর্ণ মার্বেল পাথরের দিয়ে তৈরি
এছাড়াও মসজিদের পবিত্রতা রক্ষার্থে ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। নামাজ পড়তে এসে মুসল্লিদের জুতোর ময়লা যাতে কোনো ভাবে মসজিদের প্রাঙ্গণে না পরে সে জন্য ভিন্ন এক উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে মসজিদের পক্ষ থেকে।
তাছাড়াও দেশ-বিদেশে দামি টাইলস এবং সুন্দর কাঠের কারুকাজ দিয়ে তৈরি এই মসজিদটি। মসজিদটি নির্মাণ কাজ সম্পাদন করে চট্টগ্রামের এবং বাংলাদেশের জনপ্রিয় কোম্পানি “ইকুইটি “। ১২ তলা ফাউন্ডেশনের মসজিদটিতে ৬ তলা পর্যন্ত কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে। এই মসজিদটিতে একসাথে আনুমানিক ৬ থেকে আট হাজার মানুষ নামাজ পড়তে পারে |