কাতালগঞ্জ এলাকাটি একসময় চট্টগ্রামে ইংরেজদের প্রধান প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হত। মীর কাসিম ১৭৬০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কোম্পানির সাথে সন্ধির শর্তানুসারে চট্টগ্রামের কর্তৃত্ব ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে তুলে দিলে ১৭৬১ সালের ১৫ জানুয়ারি কোম্পানির কর্মকর্তা হ্যারি ভেরলস্ট চট্টগ্রামের শাসনভার গ্রহণ করে একে ব্রিটিশ শাসনের অন্তর্ভুক্ত করেন।
কথিত আছে, হযরত কাতাল পীরের নাম অনুসারেই এলাকাটির নাম হয় কাতালগঞ্জ। পাঁচলাইশ থানার সম্মুখে মুরাদপুরগামী হাটহাজারী রোডের পাশে তাঁর মাজার রয়েছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জান যায়, সবচেয়ে পুরাতন এলাকা কাতালগঞ্জের নামকরণ নিয়ে অনেকেই অনেক মতবাদ ব্যাক্ত করেন। কেউ কেউ তো মনে করেন কাতালগঞ্জের নামকরণ করা হয়েছে অন্যভাবে।
তখন কাতালগঞ্জের পর্তুগীজ বিল্ডিং ও ভাঙ্গনঘুটায় স্থাপন করা হয় তাদের প্রথম প্রশাসনিক সদর দপ্তর। চট্টগ্রামের প্রথম ছাপাখানা (মুদ্রণযন্ত্র) বা প্রেসটিও স্থাপিত হয় কাতালগঞ্জের ভাঙ্গনঘুটায়। রাজদূত বলে খ্যাত রায় বাহাদুর শ্রী শরৎচন্দ্র দাস ও তাঁর ভাই কবি গুণাকর নবীনচন্দ্র দাস চট্টগ্রাম থেকে একটি সংবাদপত্র বের করার লক্ষ্যে প্রেসটি স্থাপন করেন। অবশ্য পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়েছিল কি–না জানা যায়নি।