উনিশ শতকের আশির দশকে চট্টগ্রামের এক কৃতী সন্তান ব্রিটিশ সরকরের রাজদূতের মর্যাদা পান। তিব্বতি ভাষা, ইতিহাস, সাহিত্যে অগাধ পাণ্ডিত্য দেখিয়ে ব্রিটিশ সরকারকে সহযোগিতা করে দেন। তিনি পটিয়ায় জন্মগ্রহণকারী রায় বাহাদুর শরচ্চন্দ্র দাস। চীন, জাপান, তিব্বত, সিকিম সফর করেছিলেন ইংরেজ সরকারের সহযোগিতায়।
১৮৮৬ সালে সিআইই রাজকীয় মর্যাদা ও ১৮৯৬ সালে রায় বাহাদুর উপাধি পান তিনি। সরকার তাঁর দূতিয়ালিতে আরও খুশি হয়ে তাঁকে এক পাহাড় প্রদান করে। জয়নামা বা জাহানুমা নামের পাহাড়টির শীর্ষদেশে তিনি একটা দেব মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। সেই দেব মন্দির থেকে নাম হয় দেব পাহাড়। আবার অনেকেই অনেক মতবাদ ব্যাক্ত করেন।
তখন তিব্বত, সিকিম, চীনে অন্যদের প্রবেশ করা অসম্ভব ছিল। একরকম নিষিদ্ধ ছিল। সে নিষিদ্ধের পর্দা ভেদ করে শরচ্চন্দ্র সফল দূতিয়ালি করেছিলেন ইংরেজদের। দেব পাহাড় হাজি মোহাম্মদ মহসিন কলেজের ঠিক পেছনে অবস্থিত। পাহাড়, বন জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়ে লোকজন তেমন ছিল না।
আশির দশকের আগে পশুপাখির অভয়ারণ্য ছিল। নির্জন ছিল এই দেব পাহাড়। কালের পরিক্রমায় আস্তে আস্তে লোকজন আসতে শুরু করেছিলো দেব পাহাড়ে সাথে বাড়িঘরও বেড়েছিলো। কেবল বাড়িঘর নয়, সাথে দোকানপাট। পাহাড়ের সুউচ্চ গায়ে সুন্দর পাকাবাড়ি বেড়েছে গত কয়েক দশকে। আশির দশকের আগে ছিল নূর পাহাড় জামে মসজিদ। এখনো মসজিদের সম্প্রসারণ, সৌন্দর্যবর্ধন চলছে। রাস্তার একধারে চারাগাছের সারি, মাঝে বসার ছোটো বেঞ্চি।