হারের বৃত্ত থেকে বেরুতে পারছে না বাংলাদেশ। হারতে হারতে আত্মবিশ্বাসও যেন তলানিতে গিয়ে ঠেকছে। বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিক প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১০০ রানের গন্ডিও পেরুতে পারেনি বাংলাদেশ। আফগানদের বিপক্ষে ৬২ রানে হেরে গেছে সাকিব আল হাসানের দল।
এশিয়া কাপে টানা ব্যর্থতার পর নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে চার ম্যাচেই হেরেছিল বাংলাদেশ। এখনো সে হারের বৃত্তেই আছে দলটি। সোমবার (১৭ অক্টোবর) ব্রিসবেনের অ্যালান বোর্ডার ফিল্ডে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। বাংলাদেশি বোলারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়ে ১৬০ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ৯৮ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
আরও পড়ুন: রঙিন বিশ্বকাপে ফ্যাকাশে বাংলাদেশ
তাসকিন আহমেদের বলে আফগান ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাই দ্রুত ফিরে গেলেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দ্রুতই ৪৩ রান তোলেন অন্য ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ এবং ৩ নাম্বারে নামা ইব্রাহিম। ইনিংসের নবম ওভারে গুরবাজকে (২৭) ফিরিয়ে বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দেন সাকিব।
তাসকিন-হাসানরা এরপর আফগান ইনিংসের রাশ টেনে ধরার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে ১৭তম ওভারে ১১৬ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় আফগানিস্তান। তবে দলের প্রয়োজনের সময় ক্রিজে দাঁড়িয়ে যান আফগান দলপতি মোহাম্মদ নবী। তার ৫টি বিশাল ছয়ে মারে খেলা ১৭ বলে ৪২ রানের অতিমানবীয় ইনিংসে ভর করে ১৬০ রান পর্যন্ত পৌঁছায় আফগানিস্তান।
১৬১ রান তাড়া করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আবারো ব্যর্থ নাজমুল হাসান শান্ত। দলীয় ১৯ রানে ৯ বলে ১২ করে আউট হন তিনি। এরপর ইনিংসের ৬ ওভার ১ বলে মাত্র ২৯ রানে আরও চার ব্যাটারকে হারায় বাংলাদেশ। সৌম্য ৪ বলে ১, সাকিব ৪ বলে ১ ও আফিফ-রাব্বি ১ বলে রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফিরে যান।
এরপর দলী ৪৭ রানে আউট হন নূরুল হাসান সোহান। কোনো বড় জুটি গড়তে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। দলীয় ৪৮ রানে ৩১ বলে ১৬ রান করে নাভিন উল হকের বলে বোল্ড হন মেহেদী মিরাজ।
এরপর দলীয় ৬০ রানে আউট হন তাসকিন আহমেদ। মাত্র ৬০ রানেই ৮ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে বাংলাদেশ। এরপর মুস্তাফিজকে নিয়ে ২৭ রানে জুটি গড়েন মোসাদ্দেক সৈকত। দলীয় ৮৭ রানে ২৫ বলে ২০ করে আউট হন মোসাদ্দেক। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৯৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
মুস্তাফিজ ২৫ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকে। আর আফগানিস্তানের পক্ষে ফজলহক ফারুকী নেন ৩টি উইকেট। আর ফারিদ মালিক নেন ২টি উইকেট।
১৯ অক্টোবর দ্বিতীয় এবং শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।