নৈসর্গিক সমাধিস্থল চট্টগ্রামের ওয়ার সিমেট্রি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp

চট্টগ্রাম ওয়ার সিমেট্রি’র পুরো এলাকা জুড়ে বিরাজ করছে নীলে ঘেরা প্রাকৃতিক পরিবেশ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈনিকদের সমাধিস্থল ওয়ার সিমেট্রিকে আলাদা সৌন্দর্য এনে দিয়েছে সবুজের সমারোহ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইন্দো-বার্মা রণাঙ্গনে আজাদ হিন্দ ফৌজের আক্রমণে মিত্রবাহিনীর যেসব সৈনিক প্রাণ হারায় তাদের সমাহিত করা হয় চট্টগ্রামের এ নীলাভ প্রাকৃতিক পরিবেশে।

চারদিকে ছায়াঢাকা পাখিডাকা সুনশান নীরবতা। যেদিকে চোখ যায় পটে আঁকা ছবির মতো সাজানো গোছানো। ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নেওয়া এ চট্টগ্রাম ওয়ার সিমেট্রি’কে দেওয়া হয়েছে নান্দনিক রূপ। আকাশছোঁয়া আকাশমণি, দেবদারু, কড়ই, সেগুন, কৃষ্ণচূড়া ছায়া দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

ঝাড়বেড়া, বাগানবিলাস আর চেনা-অচেনা রকমারি পাতাবাহার, শোভাবর্ধনকারী বৃক্ষরাজি ও ফুলের গালিচা দেখলেই মন ভরে যাবে সবার। কোথাও হিজল-জারুল-চম্পা, কোথাও সোনালী ফুলের গাছ উঁকি মারছে। মাঝে সারি সারি কবর।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পশুপাখিদের হাসপাতাল

আবার সারি সারি বাহারি ফুলের মেলা। ফুটে আছে লাল, সাদা আর হলুদ লেনটানা, কেরিঅপসিস, রঙ্গন। ফুলে ফুলে টইটম্বুর গাছগুলো শোভা বাড়াচ্ছে। সৃষ্টি করছে নৈসর্গিক পরিবেশ। যেখানে সকাল, দুপুর আর বিকেলে আলোছায়ার খেলায় ঘন ঘন রুপ পাল্টে যায়। পাহাড়ের ভাঁজে অপরূপ এক সমাধিস্থল।

নগরীর বাদশা মিয়া রোডে চারুকলা ইনস্টিটিউটের কাছেই ওয়ার সিমেট্রির অবস্থান।

এখানে ঢুকতে কোনও টিকিট বা প্রবেশ মূল্য নেই। বিনামূল্যেই উপভোগ করা যায় অনাবিল আনন্দ, মন ভরে যাবে শুদ্ধতার পরশে। তবে আপনাকে যেতে হবে সকাল ৮টা থেকে ১২টা বা বেলা ২টা থেকে ৫টার মধ্যে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

Welcome Back!

Login to your account below

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.