প্রায়ই কি নুন ছড়িয়ে চিপস খাওয়ার জন্য মনটা আনচান করে? খাবার পাতেও একটু বেশি কাঁচা নুন না হলে চলে না? প্রশ্নের উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে সেই ব্যক্তির শরীরে সবসময় অতিরিক্ত নুনের আকাঙ্ক্ষা থাকে। নুন যে খাবারের স্বাদ বাড়ায় তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু অতিরিক্ত নুন ছাড়া যদি খাবারদাবার পছন্দ না হয় তাহলে বিপদ অপেক্ষা করে আছে।
প্রতিদিনের খাবারে নুন থাকবে পরিমিত মাত্রায়। এমনটাই বলেন চিকিৎসকরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একজন সুস্থ ব্যক্তির দিনে ৫ গ্রামের বেশি নুন খাওয়া উচিত নয়। বড়জোর এক চা চামচ নুন। তাঁর বেশি নয়। তাছাড়া যে সব রান্নায় নুনের পরিমাণ বেশি সে সব রান্নাও এড়িয়ে চলা উচিৎ।
কিন্তু যদি কারও বেশি বেশি নুন খাওয়ার ইচ্ছে হয়, তাহলে মনকে অন্য দিকে ঘোরানোর কিছু কৌশল রয়েছে। এখানে সেগুলো নিয়েই আলোচনা করা হল।
আগে থেকে খাবারের পরিকল্পনা: এটা খুব সহজ কৌশল। মেনে চললে অতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণ এড়ানো সম্ভব। খুব খিদে পেলে মনের ভিতর নুন খাবার ইচ্ছে জাগে। তখনই মোবাইলের ক্লিকে খাবার অর্ডার করা হয়। যার বেশিরভাগই সোডিয়ামে ভরপুর। কিন্তু যদি কেউ সোডিয়ামের পরিমাণ সীমার মধ্যে রাখতে চান তাহলে আগে থেকে খাবারের পরিকল্পনা করতে হবে। এতে নুনের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। তাছাড়া পেট ভরা থাকলে শরীরে অতিরিক্ত নুনের চাহিদা থাকে না।
আরও পড়ুন: কাচ ইংরেজি গ্লাস, কাচের গ্লাস ইংরেজি কী
ভেষজ বা মশলা: নুন মস্তিষ্কের রিসেপ্টরকে উদ্দীপিত করে। সেটাই জানিয়ে দেয়, এই খাবারটা অতীব সুস্বাদু। একই প্রভাব তৈরি করতে নুনের বদলে কিছু ভেষজ বা মশলা ব্যবহার করা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও একই কথা বলছে। তাদের মতে, নুনের বদলে তাজা বা শুকনো ভেষজ ব্যবহার করা সবচেয়ে ভাল।
বিকল্প অনুসন্ধান: নুন খাবার ইচ্ছে হল মানে এই নয় প্যাকেট ছিঁড়ে চিপস খাওয়া শুরু করতে হবে। বরং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর বিকল্প বেছে নিতে হবে। কম সোডিয়াম জাতীয় খাবার যেমন সূর্যমুখী বা কুমড়ার বীজ এবং কম সোডিয়াম বাদাম খাওয়া যায়। এতে খিদে মিটবে। স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে।
খিদে তেষ্টা এক নয়: অনেক সময় খিদে এবং তেষ্টা গুলিয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে শরীর নুন খেতে চায়। তাই নিজেকে হাইড্রেটেড রাখার চেষ্টা করতে হবে। পর্যাপ্ত জল পান করলে সহজেই অনেক ধরনের খাবারের লালসা চলে যাবে।
ধীরে ধীরে পরিবর্তন: নুনের খিদে কমাতে চাইলে খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে। নুন খাওয়া কমাতে শুরু করলেই স্বাদকোরকে বদল আসবে। ধীরে ধীরে নুন খাওয়ার ইচ্ছে চলে যাবে। তবে এর জন্য ধৈর্য চাই।
বেঙ্গলিনিউজ