৬ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বাবুল আক্তারের মামলা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ৬ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। স্ত্রী হত্যার অভিযোগে যিনি নিজের মামলায় কারাবন্দী আছেন। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন বাবুল আক্তার।

বাবুল আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, ‘বাবুল আক্তার একটি মামলা করেছেন। আদালত এখনো আদেশ দেননি।’ মামলার অন্য আসামিরা হলেন পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার এসপি মো. নাজমুল হাসান, মেট্রো এসপি নাঈমা সুলতানা, খুলশী থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা, সিএমপির ডিবি বন্দর জোনের সহকারী কমিশনার একেএম মহিউদ্দিন সেলিম ও পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার ইন্সপেক্টর কাজী এনায়েত কবির।

মামলায় নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩ এর ১৫(১) ধারা এবং সংশ্লিষ্ট আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ করা হয়। সময়কাল বলা হয়, ২০২১ সালের ১০ মে সকাল পৌনে ১০টা থেকে ১৭ মে সকাল ১০টা পর্যন্ত। ঘটনাস্থল পিবিআই চট্টমেট্রো ও জেলা অফিস। সাক্ষী বাবুল আক্তারের বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া ও ভাই অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমানসহ ৬ জন।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ফুচকা পেলো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

এর আগে চলতি বছরের ২৪ আগস্ট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এক তদন্ত রিপোর্টে জানায়, সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের পরিকল্পনা ও অর্থায়নে মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যা করা হয়। অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্কের জেরে তিনি স্ত্রী মাহমুদাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এ জন্য সোর্সের (তথ্যদাতা) মাধ্যমে তিনি তিন লাখ টাকায় খুনি ভাড়া করেন। এতে বাবুলসহ সাতজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে।

২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় গুলি করে ও কুপিয়ে মাহমুদাকে হত্যা করে দুর্বত্তরা। এ সময় তিনি বড় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে জিইসি মোড়ে গিয়েছিলেন। ঘটনার সময় বাবুল ঢাকায় ছিলেন। পরে তিনি চট্টগ্রামে গিয়ে ওই ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

Welcome Back!

Login to your account below

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.