‘ইকোনো লেখে চমৎকার, এক কলমে মাইল পার’, ‘টাইগার বাম: পিরীতের ব্যথা ছাড়া সব ব্যথাই সারায়’—নব্বইয়ের দশকজুড়ে রাজত্ব করেছে এরকম বেশ কিছু পণ্য। নাবিস্কো লজেন্স, বানানা চুইংগাম, কোকা কোলার ইয়ো ইয়ো, পাতার বারুদ ফোটানো পিস্তল, ইকোনো বলপয়েন্ট পেন, বলাকা ব্লেড, রেসলারদের স্টিকার, হক ব্যাটারি, টাইগার বাম, ক্যাসিও ঘড়ি, প্রজাপতি দিয়াশলাই, বিটিভির নতুন কুঁড়ি, জেট গুঁড়ো সাবান, তিব্বত স্নো, কসকো গ্লিসারিন সোপ, আলাউদ্দিন সুইটমিট, মায়া বড়ি, মিল্লাত ঘামাচি পাউডার…সেসব স্মৃতি আজও আমাদের মনে অমলিন।
দেশ স্বৈরাচারের কবল থেকে মুক্ত হলো নব্বই সালে। একানব্বই থেকে শুরু হলো নব্বুইয়ের দশক। নির্বাচিত সরকার পেল বাংলাদেশ। গণতন্ত্রের সুফল হিসাবে জবাবদিহি বাড়ল, কমল দুর্নীতি। ঘটে চলল অর্থনৈতিক ও মানবিক উন্নয়ন। ফলাফলে অনেক মধুর স্মৃতি তৈরি করেছে দশকটি।
নাবিস্কো লজেন্স, বানানা চুইংগাম, কোকা কোলার ইয়ো ইয়ো, পাতার বারুদ ফোটানো পিস্তল, ইকোনো বলপয়েন্ট পেন, বলাকা ব্লেড, রেসলারদের স্টিকার, হক ব্যাটারি, টাইগার বাম, ক্যাসিও ঘড়ি, প্রজাপতি দিয়াশলাই, বিটিভির নতুন কুঁড়ি, জেট গুঁড়ো সাবান, তিব্বত স্নো, কসকো গ্লিসারিন সোপ, আলাউদ্দিন সুইটমিট, মায়া বড়ি, মিল্লাত ঘামাচি পাউডার ইত্যাদি জিনিসপত্র সেইসব স্মৃতির আধার। এই লেখায় আমরা নির্বাচিত কয়েকটি জিনিসের হালহকিকত পরখ করব, সেসঙ্গে উত্থান-পতন বৃত্তান্তও বয়ান করব। শুরুটা হোক নাবিস্কো লজেন্স দিয়ে।
নাবিস্কো লজেন্স
তেজগাঁও পার হয়ে মহাখালীর পথ ধরার কিছু পরে বাস কন্ডাক্টরকে নাবিস্কো নাবিস্কো বলে চেচিয়ে উঠতে শুনে থাকবেন অনেকে আর বাস থেকে নামার আগেই পেতে থাকবেন সুবাসিত সুঘ্রাণ। নাবিস্কো নামের বিস্কুট, লজেন্স, ব্রেড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বদৌলতেই বাসস্ট্যান্ডের নাম হয়ে গেছে নাবিস্কো । আশি ও নব্বই দুই দশক জুড়েই দাপটে রাজত্ব করেছে নাবিস্কো।
মফস্বলের লোক লজেন্স বলতে ওই নাবিস্কোই খুঁজে পেত আর খেতও দীর্ঘক্ষণ ধরে। এক টাকায় তখন দুটি করে লজেন্স পাওয়া যেত; মানে দাঁড়াল, একটি লজেন্স আট আনা। পরে প্রতিটি লজেন্সের দাম ধরা হয়েছিল ১ টাকা। এখন আর লজেন্সটি পাওয়াই যায় না আর আট আনাও দেখা যায় কালেভদ্রে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বেতারের নাবিস্কো লজেন্স সংগীত সন্ধ্যাও ছিল জনপ্রিয় একটি অনুষ্ঠান।
ইকোনো কলম
শুধু লেখার না, মারামারি আর বাঁদরামোরও হাতিয়ার ছিল ইকোনো কলম। জিকিউ কোম্পানির কলম এই ইকোনো। নব্বুইয়ে ইকোনো ডিএক্সের ছিল একচেটিয়া রাজত্ব। এর একটা স্লোগান খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল—’ইকোনো লেখে চমৎকার, এক কলমে মাইল পার’। আরেকটি টিভি বিজ্ঞাপনে বলা হতো—’আব্বুর জন্য ইকোনো, আম্মুর জন্য ইকোনো, সবার জন্য ইকোনো’।
তারপর নব্বই দশকের শেষ দিকে ম্যাটাডর আর অলিম্পিক কলম এসে ইকোনোর রাজত্বে ভাগ বসায়। ইকোনোর দাপট হারাতে থাকে চটকদার সব বিজ্ঞাপনের কাছে। পরে এফএক্স নামে ইকোনো যে নতুন কলম আনে তার নকশা আর গ্রিপও বদলানো হয়েছিল। কিন্তু হারানো রাজত্ব পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়নি।
১৯৮৮ সালে প্রথম বাজারে আসে প্লাস্টিক কলম ইকোনো। এটি দেশের প্রথম বলপয়েন্ট কলম। দাম ছিল ৩ টাকা মাত্র, যেখানে রেডলিফের দাম ছিল ৭ টাকা। ইকোনো ডিএক্স লাল আর নীল কালিরও পাওয়া যেত। ইকোনোর একটি দোষ এই—এর পেছনে ছিদ্র ছিল, তাই কালি পকেটে ছড়িয়ে যেত।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের হিসাবে ইকোনোর আয় ৪০ কোটি টাকা থেকে ২২.৫ কোটিতে নেমে গিয়েছিল, ২০০৭ সালে আরো কমে ১৭ কোটিতে নেমে এসেছিল। এখনো ইকোনোর কলম বাজারে পাওয়া যায় তবে সেই ইকোনো ডিএক্স আর নেই।
ইয়ো ইয়ো
ছোটবেলার খেলনা বলতে লাটিমের কথাই মনে আসে বেশি। ইয়ো ইয়ো যখন আনল কোকাকোলা, তখন তা একটা বিস্ময় সৃষ্টি করল। ট্রলারস নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারীর জবানীতে শোনা যাক আরো খানিকটা, ‘আমাদের ছেলেবেলায় সে ইয়ো ইয়ো ছিল দুনিয়ার সবচেয়ে দামি বস্তু। দুই রঙের ইয়ো ইয়ো ছিল। কোকেরটা চকলেট কালারের আর স্প্রাইটেরটা সবুজ। ভেতরে জরি থাকায় আলো লেগে চিক চিক করত। কারো হাতে সে ঝিলমিলে ইয়ো ইয়ো দেখলে হিংসায় জ্বলে-পুড়ে মরতাম। নব্বইয়ের সে দিনগুলোয় আমাদের কাছে ইয়ো ইয়ো ছিল আইফোনের মতোই লোভনীয়।’
জোড়া লাগানো ছোট গোল দুটি চাকতির মাঝে লম্বা দড়ি থাকত ইয়ো ইয়োর। খেলনা গবেষকরা জানিয়েছেন, খ্রিষ্টপূর্ব হাজার বছর আগে চীনে এটির উদ্ভব। তবে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পেতে একে হাজার হাজার বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। ১৯১৬ সালে ফিলিপাইনে এই খেলনা তুমুল জনপ্রিয় হয়। তখন সায়েন্টিফিক আমেরিকান ম্যাগাজিনে এ নিয়ে প্রতিবেদনও ছাপা হয়েছিল।
১৯২৮ সালে ইয়ো ইয়ো যুক্তরাষ্ট্রে বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি শুরু হয়। মাত্র এক বছরের মধ্যে এটি এত জনপ্রিয় হয় যে একটি কারখানাতেই বছরে তিন লাখ ইয়ো ইয়ো তৈরি করতে হতো। তারপর ইয়ো ইয়ো পৃথিবীজুড়ে সব বয়সী মানুষদের খেলনায় পরিণত হয়। জেমস বন্ড সিরিজের চলচ্চিত্র অক্টোপুসির খলনায়কের হাতেও দেখা যায় ইয়ো ইয়ো। আমাদের দেশে ইয়ো ইয়ো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে কোকাকোলা মারফত আশির শেষ থেকে নব্বইয়ের শুরুতে। তখন যে কোকাকোলা বা স্প্রাইট বোতলের ছিপির উল্টো পিঠে খেলনাটির ছবি আঁকা থাকত তার সঙ্গে ফ্রি মিলত ইয়ো ইয়ো।
বলাকা ব্লেড
সেই তখনো সম্ভ্রান্ত লোকেদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ক্ষৌরকার মাথা, মুখমণ্ডল কামিয়ে দিয়ে আসত। তাদের হাতে থাকত দিন কয়েকের আধোয়া ময়লাটে খাকি ঝোলা। আর তাতে কাঁচি, ক্ষুর, সাদা ফিটকিরি, ছোট আয়না, পানি রাখার ছোট বাটি, বসার একটি পিঁড়ি, আর বলাকা ব্লেড। বাংলাদেশ সরকারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্লেড ফ্যাক্টরি লিমিটেড তৈরি করে বলাকা ব্লেড। ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাজ্যের উইলকিনসন সোর্ডের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে একটি ব্লেড উৎপাদন কারখানা প্রতিষ্ঠার জন্য।
তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৮০ সালে কারখানা প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানটি বলাকা নামের ব্লেড বাজারজাত করা শুরু করে ১৯৮৫ সালে। তারপর থেকে বাজারে বলাকা ব্লেডের ছিল দারুণ চাহিদা। পুরো নব্বইয়ের দশক জুড়ে বলাকার রাজত্ব বজায় ছিল। ২০০০ সালে নতুন নতুন ব্লেড উৎপাদক প্রতিষ্ঠান বাজারে এলে বলাকার দাপট কমতে থাকে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বলাকা ৭৬ মিলিয়ন ব্লেড উৎপাদন করেছিল, ২০১৯ সালে সংখ্যাটি নেমে আসে ৪৭ মিলিয়নে।
বলাকা ব্লেডের ১০টির সবুজ প্যাকেটের সম্মুখভাগে বক পাখি আঁকা থাকে। দুই প্রান্তের একটিতে লেখা থাকে, উত্তম ও আরামদায়ক শেভের জন্য। অন্য প্রান্তে লেখা থাকে, উৎকৃষ্ট শ্রেণীর ইস্পাতের তৈরি। ব্লেডের গায়ে বলাকা-বাংলাদেশে তৈরী কথাটি লেখা থাকে। প্রতিটি ব্লেডের দাম ২ টাকা।
হক ব্যাটারি
নব্বই দশকের স্মৃতিধরা আরেকটি উপকরণ হক ব্যাটারি। হক অ্যান্ড কোম্পানী (ড্রাই সেল) লিমিটেড ১৯৯৪ সালের সেপ্টেম্বরে চালু হয়। তবে এর পূর্বসুরী হক কার্বাইড কারখানা চালু হয়েছিল ১৯৬৫ সালে। হক ৭৮৬ ব্যাটারি ছিল হক কার্বাইডের জনপ্রিয় একটি পণ্য। নব্বইয়ে হকের ডবল এ বা পেনসিল ব্যাটারির বাজার ছিল তুঙ্গে। তাই তো নব্বইয়ের কথা এলে হক ব্যাটারির কথাও আসে।
১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ যারা বিস্কুট, চিপস, সাবান ইত্যাদি উৎপাদন করে তাদেরই পণ্য এই হক ব্যাটারি। পাকিস্তান আমলে হক কার্বাইডের পত্রিকা বিজ্ঞাপনে লেখা হতো: উজ্জ্বল আলো, সুরেলা আওয়াজ ও দীর্ঘস্থায়িত্বের জন্য।
আরো লেখা হতো প্রতি শনিবার বেলা ২-২৫ থেকে ২-৫৫মি: পর্যন্ত রেডিও পাকিস্তান ঢাকা থেকে আমাদের আয়োজিত জনপ্রিয় গানের বিশেষ অনুষ্ঠান শুনতে ভুলবেন না। এখন হকের একটি এক্সট্টা লং লাইফ ব্যাটারির দাম ২৪ টাকা।
প্রজাপতি ম্যাচ
এক টাকায় পাওয়া যেত প্রজাপতি ম্যাচ আশির শেষ দিক থেকে। একটি ম্যাচ বাক্সে কাঠি থাকত ৪৮টি। তবে আট আনা দামেরও ম্যাচ বক্স ছিল কিন্তু তাতে কাঠি থাকত কম। রেডিটুরিডিংডটকমে মামুন লিখছেন, ‘আম্মা মাঝেমধ্যেই ম্যাচ কেনার জন্য দোকানে পাঠাতেন। দোকান থেকে বাড়ি আসার পথে ৩-৪টি কাঠি জ্বালিয়ে নষ্ট করতাম। মজা লাগত।
‘বাসায় আসার পর আম্মা যা বলতেন তার সারমর্ম হলো—দোকানদার আমাকে বলদ পেয়ে পুরান ম্যাচ গছিয়ে দিয়েছে। পরামর্শ দিত কেনার আগে হাতে নিয়া ঝাঁকি দিয়ে দেখবি কাঠি কম আছে নাকি।’
ঢাকা ম্যাচ ইন্ডাস্ট্রিজ কোং লিঃ উৎপাদন করত প্রজাপতি দিয়াশলাই। প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকত, কার্বোরাইজড শতভাগ নিরাপদ, প্রজাপতির রঙিন ছবিও আঁকা থাকত।
নতুন কুঁড়ি
১৯৬৬ সালে নতুন কুঁড়ি পাকিস্তান টেলিভিশনে যাত্রা শুরু করেছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ১৯৭৬ সালে আবার শুরু হয়। এটি বিটিভির একটি রিয়েলিটি শো যাতে শিশু শিল্পীরাই অংশ নিতে পারত। জাতীয় প্রতিযোগিতা ছিল নতুন কুঁড়ি। মুস্তাফা মনোয়ার এর নির্মাতা। কবি গোলাম মোস্তফার কিশোর কবিতা থেকে নামটি নেওয়া হয়েছিল। উদ্বোধনী থিম সং হিসাবে কবিতাটির প্রথম ১৫ লাইন ব্যবহৃত হতো।
এখনো সে সময়ের অনেকেরই ‘আমরা নতুন আমরা কুঁড়ি’ শুনলেই স্মৃতির পর্দা খুলে যায়। নতুন কুঁড়িতে বিষয় ছিল গল্প বলা, ছবি আঁকা, দেশাত্মবোধক গান, পল্লীগীতি, একক অভিনয়, সাধারণ নৃত্য, লোকনৃত্য, উচ্চাঙ্গ সংগীত, কেরাত ইত্যাদি।
আশি, নব্বইয়ের দশকের নতুন কুঁড়ির অনেক শিল্পীই পরে তারকা শিল্পী হয়েছেন। যেমন সংগীতে কনকচাঁপা, সামিনা চৌধুরী, অভিনয়শিল্পী ঈশিতা, তারিন, তিশা, জাকিয়া বারী মম, চাঁদনী প্রমুখ। চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিও অংশ নিয়েছিলেন নতুন কুঁড়িতে। ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলেছিল নতুন কুঁড়ি। পরে ২০০২ সালে শুরু হয়ে আবার ২০০৫ সাল পর্যন্ত চলেছিল।
টাইগার বাম
মাথার আর বুকের ব্যথা উপশমে টাইগার বামের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারত না তখন কেউ। বিশ্বের অনেক দেশেই এটি সমাদৃত ছিল। চীনারা এটির আবিস্কারক হলেও মিয়ানমারের রেঙ্গুনে এটির উন্নয়ন ঘটানো হয়েছিল। এর আবিষ্কারকের নাম ওচুকিনকে। মৃত্যুমুখে ওচুকিন তার পুত্র বুন হাওকে ব্যবসা বুঝিয়ে দিয়ে যান।
বুন হাও শব্দের অর্থ ভদ্র বাঘ। সে থেকেই আসে বামের নাম টাইগার বাম। ১৯২০ সালের দিকে টাইগার বাম সিঙ্গাপুরের বাজারেও আদর পায়। তারপর ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বে। তিন রকমের টাইগার বাম পাওয়া যায়—কোল্ড, হট ও আল্ট্রা। এ মলম রমরমা ব্যবসা ধরে রেখেছিল নব্বইয়ের দশক পর্যন্তও। তখন এর গুণ প্রচার করতে যেয়ে হকাররা বলে বেড়াত, পিরীতের ব্যথা ছাড়া সব ব্যথাই সারায়।
মায়া বড়ি
জন্মনিরোধক পিল মায়া বড়ির চাহিদা তৈরি হয়েছিল মিয়ানমারেও। ২০১৪ সালে পত্রিকায় খবর ছাপা হয়েছিল এই বলে যে, প্রতি মাসে লাখ লাখ পিস মায়া বড়ি পাচার হয়ে যাচ্ছে। মায়া বড়ির বিজ্ঞাপনে বলা হতো, আহা মায়া, কি যে মায়া, এই মায়া বড়ি খেলে, থাকে স্বাস্থ্য ভালো সবার।
বলা হয়ে থাকে, মায়া বড়ির বিজ্ঞাপন দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। রোজিনা নায়িকা হওয়ার আগে মায়া বড়ির বিজ্ঞাপনচিত্রে অংশ নিয়েছিলেন। নায়িকা হওয়ার পর তিনি বিজ্ঞাপনচিত্রটির প্রচার বন্ধ করার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু সে অনুরোধ রক্ষা করা সম্ভব হয়নি বিজ্ঞাপনটির জনপ্রিয়তার কারণেই।
এখনো তাই মায়া বড়ি শুনলে নব্বইয়ের দশকে বেড়ে ওঠা অনেকের স্মৃতির দরজা খুলে যায়। ফিরে ফিরে আসে হারানো দিনের সুঘ্রাণ।