শিক্ষা উপকরণের উচ্চমূল্যে শঙ্কিত শিক্ষার্থী-অভিভাবক

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp

দেশে অন্যসব নিত্যপণ্যের মতো শিক্ষা উপকরণের দাম ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গেছে।হঠাৎ করে বই, খাতা, কলমসহ স্টেশনারি সামগ্রীর দাম প্রায় দেড় গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি খরচ বেড়েছে ফটোকপিরও। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।

নগরীর চকবাজার ও আন্দরকিল্লার বিভিন্ন দোকানে ৩০ টাকার ব্যবহারিক খাতা এখন ৫০ টাকা, ৬০ টাকার খাতা ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ৩০০ পৃষ্ঠার খাতার দাম ৫০ টাকা থেকে বেড়ে দাড়িয়েছে ৬৫-৭০ টাকা, ১২০ পৃষ্ঠার খাতা ১৫ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, কালার পেপার রিমের দাম ৩২০ থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৪২০ টাকায়।
কলমের দাম ডজনপ্রতি বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা।

আরও পড়ুন: বৃটিশ মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে যে মসজিদের তথ্য

শিক্ষা উপকরণের মধ্যে সবচেয়ে বেড়েছে কাগজের দাম।এক দিস্তা কাগজ ১০ টাকা থেকে বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।কাগজের দাম টন প্রতি ৭৫ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১ লাখ টাকা। নিউজপ্রিন্টের দাম ছিল ১৫-২০ হাজার টাকা এখন তা বেড়ে দাড়িয়েছে ৪০-৬০ হাজার টাকা।
এছাড়া ৪৫০ ডলারের কাগজের পাল্প এখন আমদানি করতে হয় ৭৫০ -৮৫০ ডলারে।

ফটোকপির কালি ও কাগজের দাম বেড়ে যাওয়ায় ফটোকপির দামও বেড়েছে। আগে প্রতি কপি ফটোকপি করতে ৮০ পয়সা থেকে এক টাকা নিলেও এক তা বেড়ে ২ টাকা হয়েছে। বইখাতা ফটোকপি থেকে শুরু করে যাবতীয় শিক্ষা উপকরণের দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ফুচকা পেলো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

কাগজের দামের প্রভাব বই ও খাতার ওপরে পড়ছে। দাম বাড়ার অন্যতম আরেকটি কারণ মিল সিন্ডিকেট। বাজারে সংকট দেখিয়ে দাম বাড়ানোর কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা।

শিক্ষা উপকরণের দাম বৃদ্ধিতে অসহায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।এই অবস্থা চলতে থাকলে হুমকিতে পড়বে শিক্ষা ব্যবস্থা। তাই দ্রুত এই সমস্যা সমাধানে কার্যকরী ব্যবস্থা ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জনসাধারণের।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

Welcome Back!

Login to your account below

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.