নিত্য প্রয়োজনীয় ৯ পণ্য কত দামে বিক্রি করা হবে তা ঠিক করে দেবে সরকার। এইসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে, চাল, আটা, ময়দা, তেল, চিনি, মসুর ডাল, ডিম, সিমেন্ট ও রড। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বাজারে পণ্যের সরবরাহ, মজুত ও আমদানি প্রক্রিয়ার অগ্রগতি বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বৈঠক শেষ ব্রিফিংয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকদের জানান, আন্তর্জাতিক বাজার দর ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ও সরবরাহ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এই নয়টি পণ্যের যথার্থ দাম কি হওয়া উচিত তা নির্ধারণ করে দেবে সরকার।
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এসব পণ্যের যৌক্তিক দাম কি হওয়া উচিত তা ঠিক করা হবে। এরপর বাজারে এই ঘোষিত দাম কেউ না মানলে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের অংশ হিসেবে মামলা করা হবে। মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি বা ব্যবসায়ীর তিন বছরের জেলও হতে পারে।
তিনি বলেন, এতদিন ট্যারিফ কমিশন শুধু ভোজ্য তেল ও চিনির মূল্য নির্ধারণ করে দিত। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতা ও অভ্যন্তরীণ বাজারে ডলারের মূল্য বৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে এই পণ্যগুলোর দাম অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। যা হওয়া উচিত ছিল না। বিষয়গুলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নজরে এসেছে এবং তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ধারাবাহিক ভাবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে।
আরও পড়ুন: হালিশহর নাম কোথা থেকে এলো
টিপু মুনশি বলেন, অভিযান চললেও প্রকৃত অর্থে যথার্থ দামে বাজারে স্থিতিশীলতা তৈরি করা যায়নি। এমন প্রেক্ষাপটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট পণ্যগুলোর সব স্টক হোল্ডারদের নিয়ে এই বৈঠক হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, সার্বিক বিবেচনায় পণ্যগুলোর দাম কি হওয়া উচিত তা নির্ধারণ করতে বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এসব পণ্যগুলোর সংশ্লিষ্ট সব পর্যায়ের হোল্ডারদের নিয়ে আলোচনা করে যথার্থ দাম নির্ধারণ করবে।
তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনসহ মাঠ পর্যায়ের দায়িত্বে থাকা সকল সংস্থাকে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে কোন ব্যবসায়ী কোন পণ্যে কারসাজি করলে কিংবা অযৌক্তিক দাম রাখলেই মামলা দিতে হবে। শুধু জরিমানা করেই যেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা শেষ করা না হয়।
ব্রিফিংয়ে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মাহফুজা আখতার, এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু এবং চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি মাহবুবুল আলম, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান মো. মফিজুল ইসলাম, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামানসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।